নবান্ন থেকে খালি হাতে ফেরা - প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন 'ডাই ইন হারনেস' কোটার চাকরিপ্রার্থীরা

এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে ভেরিফিকেশনের জন্য আসতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশ মতো সকলে ভেরিফিকেশনের জন্য আসি। কাউন্সেলিং-র জন্য তারিখ দিয়েছিল।
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরানিজস্ব চিত্র
Published on

দীর্ঘদিন ধরে একাধিক সরকারি দপ্তরে ঘুরেও লাভ হয়নি। এখনও চাকরি মেলেনি মুর্শিদাবাদের ৪০ জন 'ডাই ইন হারনেস' কোটার চাকরিপ্রার্থীদের। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, শূন্যপদ তৈরি না হলে নিয়োগ করা যাবে না।

'ডাই ইন হারনেস' কোটার চাকরিপ্রার্থীরা জানান, তাঁদের কারুর বাবা, কারুর স্বামী স্কুলে চাকরি করতেন, কর্মরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়। 'ডাই ইন হারনেস' কোটায় তাঁদের চাকরি পাওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো অবধি তাঁরা চাকরি পাননি। চাকরির দাবিতেই মালদহের এসএসসি উত্তরবঙ্গ রিজিওনাল দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে ভেরিফিকেশনের জন্য আসতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশ মতো সকলে ভেরিফিকেশনের জন্য আসি। কাউন্সেলিং-র জন্য তারিখ দিয়েছিল। কিন্তু এসে জানতে পারি কোনো ভ্যাকেন্সি নেই। আধিকারিকরা বলেন শূন্যপদ তৈরি হলেই সকলকে ডাকা হবে। অনেকদিন পর জানতে যাই কবে ভ্যাকেন্সি দেবে? তাঁরা বলেন, কলকাতা থেকে ভ্যাকেন্সি না দিলে কিছু করা যাবে না। তারপর আমরা বিকাশভবন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদে যাই। কিন্তু সকলেই একে অন্যকে দোষ দিচ্ছে। নবান্ন গিয়েও কোনও কাজ হলো না।"

ওই প্রার্থী আরও বলেন, "কোনো রাস্তা খুঁজে না পেয়ে আমরা ডি আই অফিসে যাই। সেখান থেকে বলা হয় ভ্যাকেন্সি আছে। রিজিওনাল চাইলে দেওয়া যাবে। আমরা মালদহের এসএসসি অফিসে এসে ভ্যাকেন্সির কথা বললে তাঁরা ফের একই কথা বলেন, ভ্যাকেন্সি নেই। মেমো নম্বর চাইলে একটা ভুয়ো মেমো নম্বর ধরিয়ে দেয়। ডি আই অফিস থেকে মেইল করতে বললেও এসএসসি অফিস থেকে বলা হয় মেসিন খারাপ তাই মেইল করা সম্ভব নয়। আমরা কোথায় যাবো? বাড়িতে পরিবার রয়েছে, ছোটো ছোটো ভাই বোনেরা রয়েছে তাদের পড়াশোনার খরচ চালানো যাচ্ছে না। শুধুমাত্র পেনশন দিয়ে কী হবে?"

এই প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তরবঙ্গ রিজিওনাল দপ্তরের অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি শিবা প্রসন্ন রায় বলেন, "ইতিমধ্যেই ভ্যাকেন্সি পাঠানোর জন্য উত্তরবঙ্গের রিজিওনাল অফিসের অধীনে থাকা ৮টি জেলার ডি আইদের কাছে মেইল করা হয়েছে। আমাদের কাছে ভ্যাকেন্সি না থাকলে কী করে রিক্রুট করবো? আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছি অনেকবার।"

বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা
JU: 'র‍্যাগিং হতো জেনেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি' - যাদবপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক হস্টেল সুপার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in