মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে দীঘায় পুরীর আদলে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দির। দীঘায় পর্যটক সমাগম আরও বাড়বে। সেই ঘোষণামত ইতিমধ্যে মন্দিরের নকশা তৈরি হয়ে গিয়েছে। মন্দিরটি তৈরির জন্য ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। টেন্ডার ডাকা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জগন্নাথ মন্দির তৈরির জন্য রাজ্য ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি কিনেছে। আড়াই একর জমির ওপর জগন্নাথ ধাম ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে দীঘাকে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর দিঘার সমুদ্র সৈকতকে ফের সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পুরীর আদলে এখানে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হলে এই দীঘা ধর্মীয় পর্যটনক্ষেত্র হিসেবেও বিবেচিত হবে ধারণা।
দীঘা–মন্দারমণি–তাজপুরে সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এই তিন জায়গা নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি হয়েছে। দীঘায় এই মন্দির তৈরি হলে আগামীদিনে বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ দিঘায় আসবেন। একদিকে সমুদ্র সৈকত, অন্যদিকে জগন্নাথ মন্দির-দু'টিই একইসঙ্গে মিলবে দীঘায়। সুতরাং পুরী যেতে না পারলেও বঙ্গবাসীর ক্ষোভ থাকবে না। দীঘায় আসতে পারবেন পর্যটকরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘সবাই পুরীতে যায় জগন্নাথদেব দর্শনের জন্য। কিন্তু দীঘায় এরকম মন্দির হবে না কেন? সমুদ্রের ধারে একটি মন্দির থাকা ভালো।’ তাঁর মতে, এই মন্দির তৈরি হয়ে গেলে সারা পৃথিবীতে বন্দিত হবে বাংলা। পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ হবে। এখানে পর্যটকদের ভিড় যত বাড়বে, ততই অর্থের জোগান বাড়বে। যা স্থানীয় অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে। কর্মসংস্থান হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন