বিশ্বভারতীর বিতর্কিত জমি মামলায় হাইকোর্টের পর সিউড়ি জেলা আদালতেও স্বস্তি পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতী তরফ থেকে দেওয়া উচ্ছেদ নোটিশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল জেলা আদালত। পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয় নোটিসের বিরুদ্ধে আগেই সিউড়ি জেলা আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। কিন্তু সেই সময় কোনো সুরাহা হয়নি। অর্থনীতিবিদের আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন, 'শুনানির পর রায়দানের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে উচ্ছেদ নোটিশের ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে জেলা আদালত। পাশাপাশি অমর্ত্য সেনকে দেওয়া উচ্ছেদ নোটিশের কপিও জমা দিতে বলেছে আদালত'। আদালতের এই রায়ের পর কিছুটা হলেও স্বস্তিতে অমর্ত্য সেন।
৬ মে-র মধ্যে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের পৈতৃক বাড়ির ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করে দেওয়ার জন্য নোবেল জয়ীকে নোটিশ পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদালতের বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে বলেন, জমি খালি করার জন্য এস্টেট অফিসারের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এবার সিউড়ি আদালতও স্থগিতাদেশ দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
গত মার্চ মাসেও অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিশের আইনি যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠিও লিখেছিলেন অমর্ত্য সেন। তারই জবাবে বিতর্কিত জমি ছাড়তে ফের নোটিশ দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, ১৯৪৩ সালের ২৭ অক্টোবর আশুতোষ সেনকে (অমর্ত্য সেনের বাবা) বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের অন্তর্গত ১.২৫ একর জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে অমর্ত্য সেন ১.৩৮ একর জমি দখল করছেন। অর্থাৎ ১৩ ডেসিমেল জমি অতিরিক্ত দখল করছেন সেন। সেনের পাল্টা দাবি, ওই জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে লিজ নেওয়া, বাকি জমি তিনি কিনেছেন। এখন মিথ্যে কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন