২০১৯ এর পর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে বামেরা শূন্য। কংগ্রেসের সাথে জোটে লড়েও খাতা খুলতে ব্যর্থ হয় সিপিআইএম। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বহু বাম কর্মী সমর্থক। এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁদেরকে সতর্ক করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এই নির্বাচনে অনেকেই ভেবেছিলেন বামেদের শূন্যের গেরো হয়তো কাটবে। একাধিক কেন্দ্রে বাম প্রার্থীদের প্রচারে আমজনতার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে তেমনই মনে হচ্ছিল। যদিও ইভিএমে তার প্রভাব পড়েনি। এমনকি মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু তাহের খানের কাছে পরাজিত হন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও।
বামেদের ফলাফলের পরই ফেসবুক জুড়ে বামপন্থীরা নিজেদের সমালোচনা করার পাশাপাশি বর্তমান রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক জনকল্যাণ মূলক ভাতা নিয়েও লিখতে শুরু করেছেন। যার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক।
সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জানান, "কেউ কেউ স্বঘোষিত বামপন্থী আছেন। স্বঘোষিত বিপ্লবী আছেন। আমরা তাঁদের বলি, ফেসবুকে বেশি বিপ্লবিয়ানা করবেন না"।
এর পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও নিজের অবস্থান তথা সিপিআইএম-র অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, "সিপিআইএম অফিশিয়ালি কোনোদিনই এই ধরণের ভাতা সম্পর্কে নিন্দা করেনি। আর কেন নিন্দা করবে? আমরা বামপন্থীরা কমিউনিস্টারাই তো বলে আসছি সরকার যদি নাগরিকের যোগ্য মর্যাদা, অধিকার দিতে না পারে তাহলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভর্তুকি দিক। যাঁরা ভুলভাল মন্তব্য করছেন তাঁরা বামপন্থী হতে পারেন না। কোনো কোনো সমর্থক রয়েছেন যাঁরা এই কাজ করছেন। তাঁদের বলবো উগ্রতা কমিয়ে সমর্থক হিসেবে থাকুন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন