প্রায় দুমাস ধরে টানা বৃষ্টি। বেড়ে গিয়েছে সব জায়গার জলস্তর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিভিসিকে জল ছাড়তে হয়েছে। তাতে লোকালয়ে জলের পরিমাণ আরওই বেড়েছে। দুর্গত এলাকায় পানীয় জলের অভাব তো ছিলই। এবার কলকাতা ও হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা দিতে চলেছে।
ইতিমধ্যে উত্তর ও মধ্য কলকাতার পাশাপাশি উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি, চন্দননগর, চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়া এলাকায় পাইপ লাইন দিয়ে ঘোলা জল পড়ছে। হুগলির পুরসভাগুলির পক্ষ থেকে পানীয় জলপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুর প্রশাসক দিলীপ যাদব বলেন, 'কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়ররা যতক্ষণ পর্যন্ত এই জল ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন না ততক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।'
কিন্তু কলকাতায় এরকম কোনও বিধিনিষেধ এখনও আরোপ হয়নি। তবে উত্তর ও মধ্য কলকাতার বহু মানুষ চড়া দাম দিয়ে পানীয় জলের জার কিনে খাচ্ছেন। হুগলির বিভিন্ন পুরসভায় কেএমডিএর জল প্রকল্পের একাধিক পাম্প ডিভিসির ওই ঘোলা জলের ধাক্কায় বিকল হয়ে গিয়েছে। রবিবার রাতে স্বীকার করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
তাঁর বক্তব্য, আপাতত শহরে কম পরিমাণ পলতা থেকে পাঠানো টালা ট্যাঙ্কের জল সরবরাহ হবে। তবে ওই জল ঘোলাটে রঙ হলে খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও নেই। যদিও এদিন উত্তর কলকাতায় ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোলাটে পানীয় জল ব্যবহারে সতর্কতামূলক প্রচার করেছে পুরসভার বরো অফিস। তবে পুরসভা ও কেএমডি ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবে বলে খবর।
সোমবার থেকে আগামী দু’তিন দিন কলকাতায় পানীয় জল সরবরাহ বিঘ্ন হবে। এতদিন নদীর নিচতল থেকে জল নেওয়া হত পলতায়। কিন্তু সোমবার থেকে নদীর উপরের জলস্তর থেকে পানীয় থেকে নদীর উপরের জলস্তর থেকে পানীয় জলপ্রকল্পে জল টানা হবে। তাই জল সরবরাহের জোগান একটু কম হতে পারে বলে ফিরহাদ জানান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন