শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও একজন মধ্যস্থতাকারীকে আটক করল ইডি। সোদপুরের বাসিন্দা সুব্রত মালাকারকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে আটক করে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা।
সোমবার প্রায় সাত ঘন্টা ধরে সুব্রতর বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় একাধিক প্রশ্নের উত্তরে অসংগতি মেলায় তাঁকে আটক করা হয়। অভিযোগ, এই সুব্রত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মিডলম্যানের কাজ করতেন। তাঁর প্রচুর অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে।
আধিকারিকেরা মনে করছেন এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই আর্থিক লেনদেন হত। তাঁর কাছে বিপুল পরিমাণ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। মূলত উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় যাঁরা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের অনেকের সাথে সুব্রতর যোগাযোগ থাকতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায় নামে দু’জন মধ্যস্থতাকারীকে। প্রসন্নের সাথে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান এসপি সিনহার। সল্টলেকে ভাড়া গাড়ির সংস্থা চালাতেন প্রসন্ন রায়। তাঁর সংস্থার গাড়ি ব্যবহার করতেন এসপি সিনহা। সেই অফিসে কম্পিউটার অপারেটরেরও কাজ করতেন প্রদীপ সিং। প্রদীপের সল্টলেকের অফিসে প্রায় ৩ ঘন্টা তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁকে জেরা করেই প্রসন্নকুমার রায়ের নাম জানতে পারে সিবিআই। প্রসন্ন দুই ২৪ পরগনার অযোগ্য চাকরীপ্রার্থীদের লিস্ট মেইল করতেন এস পি সিনহাকে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রসন্ন রায়ের চারদিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে। সোমবার আদালতে সিবিআই-র আইনজীবীর দাবি, প্রসন্ন তদন্তে সহযোগিতা করছে না। এনার সাথে আরও অনেক প্রভাবশালী যুক্ত থাকতে পারেন। তাই হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন