গোরু পাচারকাণ্ডে চলতি মাসের শেষে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাহলে কি সায়গল ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি? প্রশ্ন উঠছে একাধিক মহলে।
সিবিআই নোটিশ দিয়ে দিল্লিতে তলব করলেও হাজিরা দেননি সুকন্যা মণ্ডল। সমস্ত নথি ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এবার দিল্লিতে ইডি দফতরে আগামী ২৭ অক্টোবর হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত কন্যাকে। সুকন্যা মণ্ডলের এএনএম অ্যাগ্রোকেমের একাধিক নথি নিয়ে দিল্লিতে জেতে হবে বলেই ইডি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ছাড়া নীড় ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও এক সংস্থার হদিশ পেয়েছে ইডি। সেই সংস্থার আয় ব্যয়ের হিসেব জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে কোথায় কিসের জন্য আর্থিক লেনদেন হয়েছিল সবকিছুই খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। এই কোম্পানির নামে প্রায় ৯০ কাঠা জমির সন্ধান পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, সিবিআই নোটিশ দিয়ে দিল্লিতে তলব করলেও হাজিরা দেননি সুকন্যা মণ্ডল। সমস্ত নথি ১৮ অক্টোবর ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। অন্যদিকে গোরু পাচারকাণ্ডে সায়গল হোসেন সম্পর্কে সব তথ্য ইডিকে দিয়েছে সিবিআই। সায়গল বর্তমানে দিল্লিতে ইডি হেফাজতেই আছে। তাঁকে গোরু পাচারের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্র মোতাবেক জানা গিয়েছিল, অনুব্রত কন্যার নামে একাধিক ব্যবসায়িক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে এএনএম (ANM) অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক কোম্পানির যুগ্ম ডিরেক্টর পদে রয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েন।
হুমকি দিয়ে, বলপূর্বক চাপ সৃষ্টি করে, নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এই কোম্পানির নামে বহু জায়গায় নামে বেনামে সম্পত্তি, জমিজমা কিনেছেন সুকন্যারা। এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন