রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানকে তলব করলো ইডি। আগামী ২৯ জানুয়ারী সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে। এদিন তল্লাশি শেষে বাড়ির দেওয়ালে সমন সাঁটিয়ে দিয়ে যায় ইডি।
৫ জানুযারী সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আহত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তার ১৯ দিন পর আজ সকালে শাহজাহানের বাড়িতে ফের তল্লাশিতে যায় ইডি। সকাল সাতটা থেকে টানা অভিযান চালিয়েও কিছু দলিল, গহনার দোকানে বিল ও জামাকাপড় ছাড়া তেমন কিছু মেলেনি। এদিকে ১৯ দিন হয়ে গেলেও এখনও শেখ শাহজাহানের খোঁজ মেলেনি। তাঁর বাড়ির দেওয়ালে সাঁটানো নোটিসে বলা হয়েছে, ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ধারা অনুযায়ী, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং নিজের পাসপোর্ট আকারের ছবি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা চিঠি থেকে খোঁজ মেলে শেখ শাহজাহান ও বনগাঁর আর এক তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের। এরপর গত ৫ জানুয়ারী ইডির একটি দল বসিরহাটের সন্দেশখালিতে ও অন্য একটি দল বনগাঁতে যায় তল্লাশি অভিযানে।
সন্দেশখালি অভিযানে গিয়ে দেখা মেলেনি শেখ শাহজাহানের। বরং শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আহত হন ইডি আধিকারিকরা। অন্যদিকে, গত ৫ জানুয়ারী মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর আঢ্যকে। আপাতত ইডির হেফাজতে রয়েছেন তিনি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে ১৯ দিন কেটে যাওয়ার পর এখনও মেলেনি সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহিজাহানের খোঁজ।
বুধবার ফের সন্দেশখালিতে তল্লাশিতে যায় ইডি। এই দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি। আপাতত তাঁর বাড়িটি সিল করে দিয়ে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন