গোরু পাচারকাণ্ডে ফের অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। আগামী সপ্তাহে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার তিনি হাজিরা দেন নাকি আগের মতো ফের হাজিরা এড়িয়ে যান সেটাই দেখার।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর এই নিয়ে মোট তিনবার তলব করা হলো সুকন্যা মণ্ডলকে। আগের দুবার তিনি হাজিরা এড়িয়েছিলেন। তবে আগামী সপ্তাহে যাবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাবা আর মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তাঁরা। গত এক মাসে তদন্তে অনেক নতুন নতুন তথ্য সামনে এসেছে। বেশ কিছু ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। সেই সমস্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই তলব।
প্রসঙ্গত, এর আগে যখন অনুব্রত কন্যাকে তলব করা হয়েছিল তখন প্রথমবার তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে দিল্লিতে ইডি দপ্তরে চিঠিও পাঠিয়েছেন। যেখানে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্যই হাজিরা দিতে পারবেন না তিনি। পরের বার অবশ্য হাজিরা এড়ানোর কোনো কারণই জানা যায়নি।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে দিল্লিতেই ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন সুকন্যা মণ্ডল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিষয় তাঁর বাবা এবং হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি জানে। ফলে তাঁর বয়ান কতটা সত্যি তাও খতিয়ে দেখতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে থাকায় সুকন্যা মণ্ডল কার্যত একা। কিন্তু তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২৫ মার্চ কালীঘাটে বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জি। জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, 'কেষ্ট (অনুব্রত মণ্ডল) এখন জেলে আছে। ওর মেয়েটা একা হয়ে গেছে। তোরা ওর খোঁজ খবর রাখিস।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন