গত রবিবারের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছেই। সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ডব্লুবিসিএস-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্য সরকারকে।
তিনি তোপ দেগে বলেন, 'বাংলার শিক্ষানীতি আগে লাল ছিল। এখন সবুজ।' প্রশ্নপত্রে ডি সেটের ৯৫ নম্বর প্রশ্নে ছিল, কোন বিপ্লবী নেতা জেল থেকে মার্সি পিটিশন করেন? উত্তরের চারটি অপশনে ছিল ভিডি সাভারকর, বিজি তিলক, শুকদেব থাপার, চন্দ্রশেখর আজাদ। তা নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, এখানে এখন রাজনৈতিক ক্যাডার তৈরির চেষ্টা চলছে। দেখা হচ্ছে স্কুল থেকে ডব্লুবিসিএস, সবাই দলের প্রতি অনুগত কিনা। তাই পরীক্ষায় পার্টির প্রশ্ন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ইউপিএসসিতে সিএপিএফ-এর কমান্ডান্ট পদের পরীক্ষায় প্রশ্ন ছিল, পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ২০০ শব্দের রিপোর্ট। আরও ছিল, কৃষক আন্দোলন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা, তা যুক্তি সহকারে আলোচনা করতে বলা হয়েছিল। তখন প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, সাভারকর মুচলেকা দেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশেই এই প্রশ্ন। যদিও এব্যাপারে তৃণমূলের সেরকম কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও ছিল প্রশ্ন। যেমন-৪৩ নম্বর প্রশ্ন ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজসাথী প্রকল্পে সরকার পোষিত-মাদ্রাসা-বিদ্যালয়ের কোন শ্রেণিতে পড়ুয়ারা সাইকেল পায়? প্রশ্নপত্রের ডি সেটের ৮৪ নম্বর প্রশ্ন ছিল, গতিধারা প্রকল্পের একজন উপভোক্তা সর্বোচ্চ কত টাকা সরকারি ভর্তুকি পান? ১১৮ নম্বর প্রশ্ন ছিল, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিমার প্রিমিয়ামের কত শতাংশ রাজ্য দেয়?
এদিন দিলীপ ঘোষ স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশ্ন করেন, যদি মনে করেন বিপদ আছে, তাহলে ভোট চাইছেন কেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন ধরেই দাবি করছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচন সেরে ফেলা হোক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন