করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সিলেবাস কমিয়ে পড়ুয়াদের কিছুটা হালকা করতে চেয়েছিল পর্ষদ। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। পুজো মরশুম মিটে যাওয়ার পর স্কুল খুলে যাবে। এরকম একটা সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও তার কোন সঠিক দিন এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
এরই মধ্যে আগামী বছরে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা পাঠ্যক্রম কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরও কিছু কাটছাঁট করার কথা ঘোষণা করল। অবশিষ্ট পাঠ্যক্রমে থাকছে না স্বামী বিবেকানন্দের লেখা প্রবন্ধ, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা। পরীক্ষার জন্য পড়তে হবে না মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্রের লেখা নাটকও।
কী কী বাদ পড়ল? নতুন পাঠ্যক্রমে অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের পাঠ্যক্রম থেকে স্বামী বিবেকানন্দের প্রবন্ধ 'হাঙর শিকার', নজরুল ইসলামের কবিতা 'দীপান্তরের বন্দিনী', মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্রের একটি করে নাটক একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের আর পড়তে হবে না।
এখনও রাজ্যে অনলাইন ক্লাস চলছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের ওপর সিলেবাস যাতে বাড়তি বোঝা হয়ে না ওঠে, সেজন্যে কাটছাঁট করা হয়েছে বলে সংসদ সূত্রের খবর। নভেম্বরে ক্লাস শুরু হলেও পড়ুয়াদের হাতে বেশি থাকবে না। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বাদ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের কয়েকটি অংশ। বাংলা প্রথম পত্রের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি।
বাংলা প্রথম পত্রে কী কী বাদ দেওয়া হয়েছে-
১) প্রবন্ধ - 'হাঙর শিকার', স্বামী বিবেকানন্দ।
২) কবিতা - 'দীপান্তরের বন্দিনী', কাজী নজরুল ইসলাম।
৩) ভারতীয় কবিতা - শিক্ষার সার্কাস - আইয়াপ্পা পানিক্কার (অনুবাদ উৎপল কুমার বসু)।
৪) নাটক - মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্র।
৫) বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস - লৌকিক সাহিত্য - ছাড়া, ধাঁধা, প্রবাদ কথা।
৬) আন্তর্জাতিক গল্প - বিশাল ডানাওয়ালা এক থুত্থুরে বুড়ো, গ্যাব্রিয়াল মার্কেজ (অনুবাদ - মানবেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন