ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে চলতো কোটি টাকা প্রতারণা। বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর ২০১৯ সালে চিনার পার্ক এলাকার বাসিন্দা নার্সারির ব্যাবসায়ী তরুণ কুমার দাস বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করে যে এক ব্যক্তি দিল্লি ডেভলমেন্ট অথরিটির থেকে গাছের ৭৯ কোটি টাকার টেন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে তার থেকে ৬ কোটি টাকা প্রতারণা করে। সেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ ধ্রুব ব্যানার্জি নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তী তদন্ততে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ জানতে পারে, অভিযোগকারী ওই ব্যবসায়ীকে বারংবার দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত ধ্রুব। সেখানে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে দিল্লি ডেভলমেন্ট অথরিটির সেক্রেটারি হিসাবে একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করায়। অভিযুক্ত ধ্রুব ব্যানার্জি সেই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে আইএএস পরিচয় দিয়ে বৈঠক করায় বলে পুলিশ সুত্রে খবর। সেই তদন্ত শুরু করে গতকাল অভিযুক্ত মহাশয় পান্ডেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর এই ব্যক্তি নিজেকে ভুয়ো আইএএস অফিসার পরিচয় নিয়ে এই প্রতারণা চক্র চালাতো। যে ফোন ব্যবহার করে অভিযুক্ত প্রতারণা সংঘটিত করতো সেই মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এছাড়াও ধ্রুব ব্যানার্জির থেকে যে একাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতো অভিযুক্ত সেই একাউন্টের ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এছাড়াও এই ব্যক্তির সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তির যোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর এই প্রতারণা চক্রের ওপর এক পান্ডা ইতিমধ্যেই অন্য একটি মামলায় কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। তাকেও জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। আদলতের কাছে অভিযুক্তের টি আই প্যারেডের আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ধ্রুব ব্যানার্জি দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটির অফিসার হিসাবে পরিচয় করিয়েছিল। সেই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন