কলকাতার পর কৃষ্ণনগর। শনিবার ভুয়ো আইএএসের হদিশে দিনভর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তার মিল দুই জায়গায়। এক, দেবাঞ্জনের মতো সেও নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল। দুই, গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতো। তার গাড়ির নম্বর ছিল ডব্লুবি২২ইউ ৩৯৯৯।
অভিযোগ, নিজেকে আইএএস অফিসার অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলে পরিচয় দিয়ে কল্যাণীর অভিজিৎ রায় নামে এক যুবকের স্ত্রীকে কলকাতা পুলিশে চাকরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত। পাশাপাশি দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে। তার পদবী নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এদিন অভিজিতবাবু কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানায় অচিন্ত্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, আগে দুবাইয়ের হোটেলে কাজ করতেন অভিজিতবাবু। এখন মুম্বইয়ে থাকেন। তাঁর কথায়, 'আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে অচিন্ত্য ফোনে নানাভাবে প্রলোভন দেখাত। স্ত্রীকে কলকাতা পুলিশে চাকরি করে দেবে বলে জানিয়েছিল। আমার জমির সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছিল। স্ত্রীর চাকরির জন্য কয়েক ধাপে তাকে দু’লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হলেও চাকরির হয়নি। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।'
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, অচিন্ত্যর বাড়ি কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার নলুয়াপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অচিন্ত্যরা আগে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত। এখন ঝাঁ-চকচকে দোতলা বাড়ি তৈরি করেছে। বাড়ির চারপাশে লোহার গ্রিল। এদিন বাড়ির ছবি তুলতে দেখে অভিযুক্তের মেয়ে বাধা দেন। মোবাইলে অভিযুক্তের ছবি দেখানোর পর তাঁর মেয়ে বলেন, 'এটা আমার বাবার ছবি। ভুল করে হয়তো বন্দ্যোপাধ্যায় পদবি বলেছেন। আমাদের পদবী বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। আমাদের গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। বাবা এরকম করতে পারে না।' তিনি স্পষ্ট জানান, প্রয়োজনে আদালতে যাবেন। তাঁর স্ত্রী অবশ্য শরীর খারাপের অজুহাত দিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাঁরা অচিন্ত্যকে নীলবাতির গাড়িতে, পুলিশের পোশাকে দেখেছেন। ওর কথা শুনে কখনও মনে হয়নি, ভুয়ো অফিসার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন