পিএইচএইচ কার্ডে রেশন তোলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পরিবার। এমনই অভিযোগ করলেন সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। কিন্তু সেই কার্ডের কথা জানেনই না সাংসদ!
বুধবার গাইঘাটায় বিডিও অফিসে আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল সিপিআইএমের। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি একটি রেশন কার্ডের নম্বর দেখিয়ে অভিযোগ করেন, শান্তনু ঠাকুরের পরিবার কীভাবে গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ কার্ডে রেশন তুলতে পারেন? শান্তনু ঠাকুর যদি চান আমার বিরুদ্ধে আদালতে যেতেই পারেন। আমিও প্রমাণ নিয়েই আইনি লড়াই লড়ব।
শান্তুনু ঠাকুর অবশ্য বিষয়টি জানেননা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমাদের পিএইচএইচ রেশন কার্ড আছে সেটাই জানতাম আমি। আমি কোনও দিন রেশন তুলতে যায়নি। আমার মা তুলেছে রেশন। ওনার পক্ষে জানা সম্ভব নয় কোন কার্ড কাদের জন্য বরাদ্দ। আর রাজ্যে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। হয়তো আমাদের কার্ডেও সমস্যা হয়েছে। তবে আমি সারেন্ডার করব।
বিজেপি সাংসদের যে পিএইচএইচ রেশন কার্ড কাছে তা স্বীকার করেছেন রেশন ডিলারও। তিনি বলেন, শান্তনু ঠাকুরের পরিবারের কয়েকজনের এই কার্ড রয়েছে। প্রতিমাসেই তাঁরা রেশন তুলতে আসেন। গত মাসেও তাঁরা এসে রেশন তুলে নিয়ে গেছেন।
পিএইচএইচ রেশন কার্ড গরিব মানুষদের স্বার্থে তৈরি করা হয়েছিল। এই কার্ডে প্রতি মাসে প্রতি রেশন কার্ড পিছু ২ কেজি চাল, ২.৮৫ কেজি আটা অথবা ৩ কেজি গম পান উপভোক্তারা। এছাড়া এএওয়াই কার্ডে পাওয়া যায় প্রতি পরিবার পিছু ১৫ কেজি চাল, ১৯ কেজি আটা অথবা ২০ কেজি গম প্রতি মাসে। RKSY-I রেশন কার্ড হোল্ডাররা প্রতি মাসে পান ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম। RKSY-II রেশন কার্ডের উপভোক্তারা পান ১ কেজি চাল ও ১ কেজি গম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন