রাজ্যের কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) পাচ্ছেন না, দাবি কিষান সংগ্রাম সমন্বয় সমিতির

কেন্দ্রের মোদি সরকারের মতো বিক্ষোভের আঁচে পুড়তে হবে রাজ্যকেও। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিষান সংগ্রাম সমন্বয় সমিতির পশ্চিমবঙ্গ শাখা।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকীসৌজন্যে - টেলিগ্রাফ
Published on

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন বটে। কিন্তু এরাজ্যের কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। ধানের মতো ফসল অভাবী বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এর অন্যথা হলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের মতো বিক্ষোভের আঁচে পুড়তে হবে রাজ্যকেও। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিষান সংগ্রাম সমন্বয় সমিতির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ন্যূনতম মূল্য নিশ্চিত করার খসড়া আইনও পাঠানো হয়।

খেতমজুর আন্দোলনের নেতা তুষার ঘোষ বলেন, আসলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে গোটা দেশেই কৃষকদের আন্দোলন চলছে। মান্ডি ব্যবস্থায় কৃষকরা কিছুটা হলেও লাভবান হচ্ছিলেন। কিন্তু কর্পোরেট এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কৃষি বাজার খুলে দিতে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে কৃষকদের। এতে কৃষকরা এবং সবজি উৎপাদনকারী কেউই কোনও ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। ধানের ক্ষেত্রে কুইন্টাল পিছু ১৩০০-১৪০০ টাকার বেশি পাচ্ছেন না। কিন্তু কেন্দ্রঘোষিত সহায়ক মূল্য এবং তার ওপর রাজ্যের সঙ্গে আরো কুড়ি টাকা ধরলে দাম ১৮৮৮ টাকা হয়।

সংগঠনের জাতীয় সম্পাদক অভিক সাহা জানান, মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। তার অর্থ তিনি এমএসপির নিশ্চয়তার দাবিকেও সমর্থন জানাচ্ছেন। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তিনি এই মূল্য নির্ধারণ বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় আইন আনুন। ইমেইল করে পাঠানো খসড়া আইনে মৎস্যজীবী, মৌ-পালক, খামারি-সহ সবাইকে কৃষক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সর্বাত্মক বনধ হবে বলে জানান কৃষক নেতারা। বনধ বিরোধী কোনও অবস্থা যাতে রাজ্যের তরফে না নেওয়া হয়, সেই দাবিও জানানো হয়।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in