প্রায় ৪০ ঘন্টা তল্লাশির পর বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করল সিবিআই। পুকুরের মধ্যে আরও একটি ফোনের খোঁজ এখনও চলছে। ওই ফোনের মধ্যে কী এমন তথ্য ছিল যার জন্য পুকুরে ফেলে দিতে হলো বিধায়ককে? তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসাররা।
বাড়িতে সিবিআই হানার পরই পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। পালাতে না পেরে পকেট থেকে দুটি মোবাইল ফোন বের করে পাশের পুকুরে ফেলে দেন তিনি। সাথে সাথেই মোবাইলের খোঁজে স্যালো পাম্পের মাধ্যমে পুকুরের সমস্ত জল বের করার কাজ শুরু করেন আধিকারিকরা। আনা হয় বিশেষ যন্ত্রও। অবশেষে রবিবার সকাল ৭টা ১৫-২০মিনিটের মধ্যে জল বের করার কাজ শেষ হয়। সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি মোবাইল খুঁজে পান তাঁরা।
অন্য একটি মোবাইলও খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। এক মৎস্যজীবী ও ৪ জন শ্রমিককে কাজে লাগানো হয়েছে। সিবিআই-র অনুমান খুব শীঘ্রই অন্য একটি মোবাইলও উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার সকাল থেকে এখনও তল্লাশি চলছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি ও নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের প্রচুর অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে। দুটি বস্তায় মিলেছে এই নথিগুলি। পাশাপাশি ৬টি ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে। যার একটিতে প্রচুর পরিমাণে টাকা আছে বলেই জানা যাচ্ছে।
সিবিআই সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অনেকের মুখেই জীবনকৃষ্ণের নাম উঠে এসেছিল। তারই তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান। বিধায়কের শ্বশুর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন