WB: রাজ্যে আসছে অর্থ কমিশনের প্রতিনিধি, অনুষ্ঠানের জন্য ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাজ্যের

People's Reporter: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৫ তম অর্থ কমিশনের টাকা নিয়ে কমিশন ৬৩২৬ টি অসঙ্গতি পেয়েছে। এর মধ্যে নিয়মের তোয়াক্কা না করে টাকা খরচ করার খাতে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে ২৬০৯ টি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ফাইল ছবি এআইটিসি ফেসবুক পেজের সৌজন্যে
Published on

গ্রামোন্নয়ন খাতে রাজ্যের তহবিলে রয়েছে ৩৪২৪ কোটি ১২ লক্ষেরও বেশী টাকা। নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে খরচ হচ্ছে না ওই টাকা। এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৫ তম অর্থ কমিশনের টাকা নিয়ে কমিশন ৬৩২৬ টি অসঙ্গতি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আসছে অর্থ কমিশনের সদস্য। জানা গেছে, তাদের জন্য ২৬ লক্ষ টাকা খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, আগামী ২ ডিসেম্বর অর্থ কমিশনের ১৬ তম প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসার কথা। ১৬ তম পূর্ণাঙ্গ অর্থ কমিশনের রিপোর্ট পেশের আগে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের অর্থ দপ্তর সূত্রে খবর, গত বছর জুন মাসে অর্থ কমিশনের একটি উপদেষ্টা মণ্ডলী গঠিত হয়। সেই উপদেষ্টা মণ্ডলীর কয়েকজন থাকতে পারে এই সফরে।

আগামী ৩ ডিসেম্বর চিড়িয়াখানার আশেপাশে একটি হোটেলে এই প্রতিনিধি দলের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা। এই অনুষ্ঠানের জন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ২৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৪০ টাকা। এক বেসরকারি এজেন্সিকে এই অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হবে। যদিও কোন এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।

অর্থ কমিশনের জন্য এত তোড়জোড় কেন সরকারের? রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, গত বছরের ৬৩২৬ টি অসঙ্গতির মধ্যে আছে ‘ভায়োলেশন অব রুলস’ অর্থাৎ নিয়মের তোয়াক্কা না করে টাকা খরচ করা। এই খাতে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে ২৬০৯ টি। এছাড়া খরচের হিসাব অদলবদলের অভিযোগ আছে ১৭৬১ টি, টাকা খরচের খাতে খরচ না করে অন্য খাতে টাকা খরচের অভিযোগ রয়েছে ৫১৬ টি, নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না খরচের অভিযোগ আছে ১২৮ টি ক্ষেত্রে, খরচে বেনিয়ম দেখা গেছে ১৯৩ টি ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত খরচের অভিযোগ ২২ টি ক্ষেত্রে, বেশী খরচের অভিযোগ ১৫ টি ক্ষেত্রে।

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর গঠিত হয় অর্থ কমিশন। এখন চলছে ১৫ তম অর্থ কমিশন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যার মেয়াদ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৬ সালের মার্চে। সাধারণত কমিশনের টাকা গ্রামোন্নয়ন, নগরোন্নয়ন, বিপর্যয় মোকাবিলা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চশিক্ষা, বিচার বিভাগের পরিকাঠামোর মতো কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় হয়। কমিশনের টাকা রাজ্য নিজের মতো খরচ করতে পারে। যদিও ১৫ তম অর্থ কমিশনের টাকা খরচের হাল খুব খারাপ। সেকারণেই অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের জন্য রাজ্য সরকারের এতো তোড়জোড় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।  

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in