অপসারিত ফিরহাদ হাকিম, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয়েই কি বিশেষ তৎপরতা!

সোমবার বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জি পাঁচ সংখ্যালঘু মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। সাগরদিঘি উপনির্বাচন নিয়েও একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই সরতে হলো ফিরহাদ হাকিমকে।
ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত ফিরহাদ হাকিম
ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত ফিরহাদ হাকিমগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

মঙ্গলবার ফিরহাদ হাকিমকে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে। নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন হুগলির তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের জেরেই কি ফিরহাদ হাকিমকে সরানো হয়েছে? নবান্ন সূত্রে খবর, অনেকদিন আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

রাজ্যে তৃণমূলের শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে সংখ্যালঘুরা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলি তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। তবে সাগরদিঘি উপনির্বাচন কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা একাধিকবার মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।

এমনকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তহ্বা সিদ্দিকি বলেছিলেন, তৃণমূলের উচিত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া। যেখানে ৬৫ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু সেখানে কেন আমি হিন্দু প্রার্থী দেব? যেখানে হিন্দু বেশি সেখানে কেন সংখ্যালঘু প্রার্থী দেব? আগামী নির্বাচনগুলিতে বিবেচনা করে প্রার্থী না দিলে সারা বাংলা সাগরদিঘি হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার ফিরহাদকে পদ থেকে সরানোর পর সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। এর আগে সোমবার বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জি পাঁচ সংখ্যালঘু মন্ত্রীর সাথে বৈঠকও করেন। ওই পাঁচ মন্ত্রী হলেন, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী এবং জঙ্গিপুরের মন্ত্রী জাভেদ খান।

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের প্রভাব কি আদৌ পড়েছে সংখ্যালঘুদের মধ্যে? ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। কোথাও কোনো রকম ত্রুটি থাকলে তা সমাধান করতে হবে। সাগরদিঘি উপনির্বাচন নিয়েও একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্প্রতি সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হয়েছেন। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তৃণমূলের দিক থেকে কি মুখ ফেরাচ্ছে সংখ্যালঘুরা? কারণ সাগরদিঘিতে প্রায় ৬৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। বাইরন পেয়েছেন ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট (+২৭.৯০%)। তৃণমূলে প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৩৪.৯৪ শতাংশ (-১৬.০১%)। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা পেয়েছেন ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট (-১০.১৪)। নির্বাচনের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, তৃণমূল থেকে বিপুল পরিমাণ ভোট কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে গেছে।

ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত ফিরহাদ হাকিম
Tripura: বিজেপির বিরুদ্ধে বিরামহীন সন্ত্রাসের অভিযোগে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করছে বাম কংগ্রেস

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in