'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের আবেদন করতে গিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০০০ টাকা খোয়ালেন একাধিক মহিলা। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের এক্তারপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের নাম করে প্রতারণার এই ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে ৫০০ টাকা ভাতা পাওয়ার জন্য রাজ্যের অন্যান্য মহিলাদের মতো এক্তারপুরের বহু মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। এদের মধ্যে ছ'জন মহিলার ফোনে ফর্ম জমা দেওয়ার দীর্ঘদিন পরেও কোনো মেসেজ আসেনি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত আধিকারিকদের সেকথা জানান ওই মহিলারা।
এর পরের দিন এক ব্যক্তি ওই মহিলাদের বাড়ি গিয়ে নিজেকে বিডিও অফিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের নথি, পরিচয় পত্র ও আঙুলের ছাপ নেন। ওইদিন বিকেলেই দেখা যায় ছয় মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা হয়েছে। পাঁচ জনের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫,০০০ টাকা করে এবং একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে ১,৫০০ টাকা কাটা হয়েছে।
তৎক্ষণাৎ মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলারা। শুক্রবার তুষার অধিকারী নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মহিষাদলের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, ধৃত যুবক বিডিও অফিসের কর্মী নন। এই ঘটনার সাথে প্রশাসন কোনো ভাবেই জড়িত নয়।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পের নামে এই প্রতারণার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবেদনকারী মহিলাদের মধ্যে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নিজেদের ব্যাঙ্ক স্ট্যাটাস চেক করছেন আবেদনকারী মহিলারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন