নতুন করে কুড়মিদের ডাকা ১২ ঘন্টার বনধে পরিবহণ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। তফশিলি উপজাতিতে কুড়মি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে তাঁরা অনড়।
এর আগেও একাধিকবার প্রতিবাদ, বিক্ষোভ বা বনধের পথে হেঁটেছে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষরা। যতদিন না সরকার তাঁদের দাবি মানছে ততদিন এই ধরণের প্রতিবাদ হবে বলেই জানিয়েছিলেন কুড়মিরা। বুধবার ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে সকাল থেকেই জঙ্গলমহলের এই তিন জেলায় 'হুড়কা জাম' (বনধ) পালন করছেন তাঁরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার তাঁদের তফশিলি উপজাতিতে অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টি আটকে রেখেছে।
সূত্রের খবর, এবারের বনধে রেলের থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে সড়ক পথে। মূলত আন্তঃজেলা বাসগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। আজ ভোরে বাস ডিপোগুলি থেকে বেশ কিছু বাস বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে একটিও বাস পথে নামেনি। পাশাপাশি স্থানীয় সমস্ত অফিস, দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সবই বন্ধ রয়েছে। জেলা আদালতগুলিতেও কাজকর্ম কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে।
কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী আদিবাসী বাদ্য যন্ত্র ও অস্ত্র নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। তাঁরা এও জানান, আগামীদিনে দাবি না মানা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নেবেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের মূল অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে সাংস্কৃতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আদিবাসী উপজাতিদের জন্য কাজ করে। কিন্তু এই সংস্থা কুড়মিদের প্রাচীন আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়নি। তাঁরা এও অভিযোগ করেন, এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল নবান্নে সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতারা। কিন্তু বৈঠকে কোনো সুরাহা হয়নি। সেদিনই বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুড়মি নেতারা।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল এই একই দাবিতে তানা কয়েকদিন রেল অবরোধ করেছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষরা। যার ফলে বহু ট্রেন বাতিল হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেলস্টেশনে অবরোধ করেছিলেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন