রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসছে। বেশ কিছু জায়গায় বিস্ফোরণের সাথে সরাসরি শাসক যোগের অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে একাধিক ব্যাখ্যা তৃণমূল নেতাদের। পাল্টা কটাক্ষ করেছেন সুজন চক্রবর্তীও।
এগরা থেকে মালদহ। রাজ্যে এক সপ্তাহে বাজি বিস্ফোরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। সাধারণ মানুষ বার বার ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন পুলিশ প্রশাসনের ওপর। এবার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের একাধিক কারণ জানা গেল তৃণমূল নেতাদের থেকে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'তীব্র গরমে বিস্ফোরণ হতেই পারে। আর এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট এবং আর্সেনিক ট্রাই সালফেড বাইরে রেখে দিলে তা এমনিই ফেটে যাবে'। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো কিছু দিন আগেই পদার্থবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক সৌগতবাবুর মুখে শোনা গিয়েছিল বোমা তৈরির 'ফর্মুলা'।
আবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন বলেন, 'বাজি কারখানা থেকে তো আর বিরিয়ানির মশলা পাওয়া যাবে না! অনেকেই এই ব্যবসার সাথে যুক্ত। কারুর যাতে ক্ষতি না হয় সেটা দেখা দরকার'।
উল্লেখ্য, এগরায় ১১ জন, বজবজে ৩ জন এবং মালদহে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বাজি বিস্ফোরণের কারণে। এরপরেই বিভিন্ন জায়গায় তৎপর হয়েছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, নুঙ্গি, মহেশতলা সহ একাধিক জায়গায় পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে হাজার হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি। এমনকি চম্পাহাটিতেও আগামী দু'মাসের জন্য বাজি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকেও ২০ হাজার কেজি অবৈধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাজি বিস্ফোরণ নিয়েই তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুজন চক্রবর্তী তিনি বলেন, 'এগরা, মালদহ, বজবজ, দুবরাজপুর হঠাৎ এত বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন? বাজিতে এমন ঘটনা তো হয় না! তাহলে কি বাজির আড়ালে বোমা অথবা বোমা মশলা মজুত করা হচ্ছে? পঞ্চায়েতের ভোটে তৃণমূল হারবে নিশ্চিত জেনে বারুদের স্তূপে পশ্চিমবাংলাকে দাঁড় করাচ্ছে? এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের গতি নেই? তা খতিয়ে দেখা উচিত। গ্রিন বাজিও হয়। সেই উদ্যোগ বামফ্রন্ট সরকার নিয়েছিল। আমিও সেই উদ্যোগে যুক্ত ছিলাম। আর এই সরকার এসে সব ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের কিন্তু কোনো নিরাপত্তা নেই'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন