ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে প্রথম আপত্তি জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর সেই মতামতকে সিলমোহর দিয়েছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। তখন থেকে মনে করা হচ্ছিল যে, তৃণমূল এবং কংগ্রেস সম্ভবত একই পথের পথিক হতে চলেছে।
পাশাপাশি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনে সোনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছিল। দিল্লি সফরে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একাধিক নেতানেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর তৃণমূল বাংলার বাইরে পা বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা, অসম, গোয়ার সংগঠনের বিস্তার ঘটেছে। আগামী লক্ষ্য উত্তর প্রদেশপ্রদেশ। বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক নেতানেত্রী কংগ্রেস ছেড়ে জোড়াফুলে সামিল হয়েছেন। এই তালিকায় আছেন অসমের সুস্মিতা দেব, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তর প্রদেশের নেতারাও।
মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সুখেন্দুশেখর রায় ও সুস্মিতা দেব বলেছেন, বিরোধী জোট গড়তে সক্রিয় নন সোনিয়া গান্ধী। তাই কংগ্রেসের অপেক্ষা না করে একলা চলো নীতি নিয়েছে তৃণমূল।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী মনে করেন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক। তাঁর কথায়, 'আমাদের সাইনবোর্ড বানাতে গিয়ে বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছেন। আপনিও একদিন একা সাংসদ ছিলেন। তাই অহং দেখাবেন না।'
তিনি আরও বলেন -'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কেন বলছেন না, আমি কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করেছি। আলাল-দালাল দিয়ে বলাচ্ছেন কেন?' এরপরই অধীর মমতা সম্পর্কে গান্ধী পরিবারের ধারণা টেনে বলেন, "দায়িত্ব নিয়ে বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্নেহের চোখে দেখে গান্ধী পরিবার। মমতার প্রতি কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের খুব ভালো ধারণা রয়েছে। আমাদের উপর বাংলায় অত্যাচার হয়, তা দিল্লির নেতারা বিশ্বাস করতেন না। এখন মমতার কীর্তিকলাপ দেখে তাঁরাও অবাক হচ্ছেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন