কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে কৃষক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বনধের আজ দ্বিতীয় দিন। শহর কলকাতায় আজ ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়লেও জেলায় জেলায় প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে আরও জোরালো প্রভাব পড়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনে জেলায় জেলায় মিছিল করছেন বামপন্থী কর্মী-সমর্থকরা।
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ধর্মঘটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে ব্যাঙ্কিং সেক্টর। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই বন্ধ রয়েছে ব্যাংক। কোথাও পুলিশ গিয়ে জোর করে ব্যাংক খুললেও কর্মচারীরা কাজ করতে অস্বীকার করেছেন।
কলকাতায় বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। সকাল থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে যাদবপুর ৮ বি, বিজয়গড় এলাকায় পথে নামে বাম কর্মীরা। ধর্মঘটীদের বাধার মুখে পড়ে একাধিক বাস। বাঘাযতীন মোড়ে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। কসবা, বেহালা সহ একাধিক জায়গায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করেন কর্মীরা। ওলা, উবের চালকরা এই ধর্মঘটে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। রাসবিহারীতে ওলা উবের চালকরা ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করেন। পোস্তায় মুটিয়া মজদুরদের বিশাল মিছিল হয়।
হাওড়ার ডোমজুড় স্টেশনে সকাল ন'টা থেকে বেশ কিছুক্ষণ রেল অবরোধ করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে বালি হল্টের কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় আধ ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। রাস্তা জুড়ে ফুটবলও খেলেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় চেয়ার পেতে পেপার পড়তে দেখা গেল বাম কর্মী সমর্থকদের। দীর্ঘক্ষণ এই দৃশ্য দেখা যায় রাজ্য সড়কের ওপর। পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদলের কাছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক এবং পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের কাছে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মীরা।
বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, বর্ধমানেও বন্ধের প্রভাব পড়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ধর্মঘটীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। প্রায় ৪০ জন বাম কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরবঙ্গে বনধের প্রভাব আরো বেশি। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জলপাইগুড়িতে অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। যান চলাচলও প্রায় বন্ধ রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি সরকারি বাস চললেও বেসরকারি পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পথঘাটও শুনশান।
আজ বিকেল পাঁচটায় সিটুর পক্ষ থেকে কলকাতায় কেন্দ্রীয় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন