সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের ১৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পাল্টা কোর্টে গিয়ে প্রমাণ করার দাবি জানালেন বাম নেতা।
এর আগে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীয়ের চাকরি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। এবার সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের ১৩ জন সদস্যের নাম সামনে এনেছেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার ট্যুইটারে তালিকা দিয়ে তিনি লেখেন, "সুজন চক্রবর্তীকে ঘিরে আবার একটি তালিকা সামনে এসেছে। সিপিএমের সূত্রেই বেরিয়েছে। তখন রাজ্যে অত বেকার, আর ওই বৃত্তে সবাই চাকরিতে"।
পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন করেন, সুজনদা, তালিকা কি ঠিক? যদি ঠিক হয়, এতজনের চাকরি দৃশ্যত কি স্বাভাবিক? যদি তালিকা ভুল হয়, রটনা নিন্দার। যদি ঠিক হয়, তদন্ত হোক"।
সেই তালিকায় রয়েছে শান্তিময় ভট্টাচার্য (সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুর), অমিতাভ সেন (বড় ভায়রা), ছবু ভট্টাচার্য (বড় শ্যালিকা), বড় শ্যালিকার পুত্র, বাবু গুপ্ত (মেজ ভায়রা), নন্দিনী ভট্টাচার্য (মেজ শ্যালিকা), মিলি চক্রবর্তী (স্ত্রী), মৌমিতা ভট্টাচার্য (সেজ শ্যালিকা), দেবাশিষ ভট্টাচার্য (ছোট ভায়রা), সম্পূর্ণা ভট্টাচার্য (ছোট শ্যালিকা), উমা চক্রবর্তী (বোন), সঞ্চিতা চক্রবর্তী (বোন), সুপর্ণা চক্রবর্তী (বোন)। সকলের পাশে কোথায় কর্মরত আছেন সেটাও উল্লেখ করা আছে ওই তালিকায়।
এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "যে যার মতো করে একটা লিস্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সবাই জানে হাস্যকর। আমি তাদের কেল্টু, বিল্টুদের আবোল-তাবোল কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না। দেবোও না, কেন দেবো? মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন নির্দেশ দিয়েছেন সেই তালিকা প্রকাশ করুন। আপত্তি নেই তো। আমার জ্ঞানত, পরিচিত লোকেরা কেউ বেআইনি চাকরি করে না। কেউ টাকার বিনিময়েও চাকরি করে না। কোর্টে যান। কোর্টে উত্তর দিয়ে দেবো। কথা নেই বার্তা নেই সকাল থেকে একটা তালিকা নিয়ে নাচতে শুরু করলেন। এটা কাজের কথা হচ্ছে না"।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "যাঁদের দায়িত্ব ছিল সরকারে থেকে বর্তমানকে সুরক্ষিত করা তাঁরা চাকরি বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। ভবিষ্যতকে সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। তাঁরা এখন পুরোনো জিনিস খুঁজে বের করে ইস্যু ডাইভার্ট করার চেষ্টা করছেন। তা হবে না। করতে দেওয়া যায় না"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন