TMC: মমতা ব্যানার্জীকে ভগবান পাঠিয়েছে মানুষের কাজের জন্য - মন্তব্য রাজ চক্রবর্তীর

তিনি বলেন, ভারতবর্ষের মধ্যে মানুষ জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র নেত্রী, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যে সকল মানুষের কথা ভাবেন। যখন কাজ করে তখন সে ভাবে না যে সামনের মানুষটা কোন রঙে রাঙিয়ে আছে।
মমতা ব্যানার্জী ও রাজ চক্রবর্তী
মমতা ব্যানার্জী ও রাজ চক্রবর্তীগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

এবার মমতা ব্যানার্জীকে লতা মঙ্গেশকর ও সচীন তেন্ডুলকরের সাথে তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন চিত্র পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। এছাড়াও তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ভগবান পাঠিয়েছে। রাজ চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

বনগাঁয় বিজয়া সম্মিলনির অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারতবর্ষের মধ্যে মানুষ জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র নেত্রী, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যে সকল মানুষের কথা ভাবেন। যখন কাজ করে তখন সে ভাবে না যে সামনের মানুষটা কোন রঙে রাঙিয়ে আছে। সে সিপিএম, তৃণমূল না বিজেপি না কংগ্রেস। ও জানে যে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আমি মানুষের জন্য জন্মেছি। যেমন লতা মঙ্গেশকর বা সচীন তেন্ডুলকর এরা জন্মেছে, এদেরকে ভগবান পাঠিয়েছে কোন একটা কারণের জন্য।

তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন নেত্রী তাকে পাঠানো হয়েছে মানুষের কাজ করার জন্য। আমাদের তাকে সম্মান করা উচিত। সব জায়গার মানুষ মাথা নিচু করে একজনকেই সম্মান করে সে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।

আর এই বক্তব্যের জেরে রাজ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘বাংলার সমাজ জীবন এত কষ্টে আছে না, মাঝে মধ্যে হাসতে পারলে খারাপ লাগে না। বাংলার মানুষ মন খুলে হাসুক। মমতা ব্যানার্জী এখন তুলনীয় সচীন তেন্ডুলকার, লতা মঙ্গেশকরের সাথে এবং ভগবান নাকি কেউ ওনাকে পাঠিয়েছেন আসলে তা না। মানুষকে মন খুলে হাসবার মতো সুযোগ করে দেওয়াটাই এখন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের বড় কাজ। আরএসএস বলেছিল দেবী দুর্গা। আর এরা একটু কম বলেছে। এদের বলা উচিত ছিল ভগবানই নিজে হাজির হয়েছেন ওনার মূর্তি ধরে’।

মমতা ব্যানার্জী ও রাজ চক্রবর্তী
মাথাটা একেবারেই বিগড়ে গেছে, মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে! মমতাকে আক্রমণ সুজনের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in