এবার দার্জিলিংকে পৃথক করার দাবি তুললেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা । সরাসরি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে চিঠি লিখে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। দার্জিলিংকে পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক হয়। চাপের মুখে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জন বার্লার মন্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে দায় এড়িয়েছিল। এবার বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার মন্তব্য নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে বিষ্ণুপ্রসাদ জানিয়েছেন, পাহাড়ের মানুষের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই চিঠি লিখেছেন। পাহাড়ের মানুষ দীর্ঘদিন বঞ্চিত, তাঁরা আলাদা রাজ্য চান। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে তাঁদের কথা তুলে ধরার দায়িত্ব তাঁর।
প্রসঙ্গত, এর আগে জন বার্লার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কামতাপুর পিপলস পার্টি (KPP) সুর চড়িয়েছিল আলাদা রাজ্যের। কামতাপুর পিপলস পার্টির প্রধান নিখিল রায় দাবি করেছিলেন - “পৃথক রাজ্যের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। মাঝে সরকারের অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতা ও ধরপাকড়ের জন্য আন্দোলন কিছুটা দমে যায়। তবে সর্বভারতীয় দলের সাংসদ হিসাবে জন বার্লা যেভাবে নতুন করে উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি করছেন তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিত, শোষিত। তাঁর দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে কথা বলব”।
শুধুমাত্র বিজেপির সাংসদ বা বিধায়করা উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্যের দাবি তোলেননি। এমন দাবি উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতার মুখেও শোনা গিয়েছিল। গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের নেতা বংশীবদন বর্মন বাংলা ভেঙে গ্রেটার কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছিলেন তৃণমূলের এসটি-এসসি সেলের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ লকরা ওরফে টাইগার। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের চারটি জেলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এই চারটি জেলা হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন