বর্ধমানের মেমারিতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের। পরিবারের দাবি তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেনশন না পেয়েই আত্মহত্যা করেছেন। ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষারত্ন পুরস্কারও পান।
মঙ্গলবার রাতে মেমারিতে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সুনীল কুমার দাসের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তারপর থেকেই তিনি পেনশনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যান। একাধিকবার বিকাশ ভবনেও আসেন তিনি। এছাড়াও নিজের পুরনো স্কুলেও যান। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরিবার সূত্রে খবর, পেনশনের টাকা না পাওয়াতে পরিবারের মধ্যে কার্যত অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
মেমারি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা ঐ মৃত শিক্ষকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। উল্লেখ্য, তিনি ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কারও লাভ করেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনা। জানি না কেন এটা ঘটল। শিক্ষাদপ্তর সম্পর্কে দুর্নাম আরও আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাবে। তোলা না দেওয়ার জন্য এই পেনশন পাননি কিনা তা অবিলম্বে তদন্ত করা দরকার’।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানান, 'ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সুনীল কুমার দাসের জন্য আমি মর্মাহত। অবসরের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে একটি তদন্তও হয়। ২০২১ সালে ওনার জন্য আমরা আপদকালীন পেনশন চালু করি'।
তিনি এও বলেন, শিক্ষা দপ্তরের সিনিয়র স্পেশ্যাল সেক্রেটরি ও তাঁর অধীনে আরও দু’জন সদস্য, বিদ্যালয়ের শিক্ষা অধিকারের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর এবং ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন