দপ্তরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতি, বিতর্কের মুখে 'ওটা লাইটার' বলে দাবি নেত্রীর

মালদা জেলা বিজেপি সভাপতির কথায়, এটাই ওদের (তৃণমূলের) সংস্কৃতি। পিস্তল আছে, খুঁজলে বোমা, একে ৪৭-ও পাওয়া যেতে পারে। ১১ বছরে গোটা রাজ‍্যের পাশাপাশি মালদহকেও বারুদের স্তূপের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতি
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতিছবি সৌজন্যে - ফেসবুক
Published on

সরকারি দফতরের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। শুধু তাই নয়, তুলছেন সেলফি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও।

সোশ্যাল মিডিয়ায ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিজের দফতরে চেয়ারে বসে সেলফি তুলছেন পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। তিনি মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিও বটে। এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ‍্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, "সরকারি চেয়ারে বসে এই ধরণের কাজ বাঞ্ছনীয় নয়। বন্দুকটি আসল বলেই মনে হচ্ছে, তবে তা তদন্ত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।" যদিও তৃণমূল নেত্রীর দাবি এটা বন্দুক নয়, লাইটার। এক বছর আগের ছবি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নতুন করে এটা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।"

বিজেপিও সরব হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। মালদা জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডলের কথায়, এটাই ওদের (তৃণমূলের) সংস্কৃতি। পিস্তল আছে, খুঁজলে বোমা, একে ৪৭-ও পাওয়া যেতে পারে। ১১ বছরে গোটা রাজ‍্যের পাশাপাশি মালদহকেও বারুদের স্তূপের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর‌ আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মৃণালিনী মন্ডল মাইতি। বিডিও অফিসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের মারধরের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতি
Murshidabad: বেসরকারি সংস্থার চাকরির ফর্ম জমা দেওয়ার দীর্ঘ লাইন, বিশৃংখলা, পুলিশের লাঠিচার্জ

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in