স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল, যশ পরবর্তীতে উপকূলবর্তী মানুষের চিকিৎসায় ‘স্টুডেন্টস হেলথ হোম’

দিন কুড়ি পরও বহু এলাকা থেকে এখনও জল নামেনি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নানা শরীর খারাপ অসুখ-বিসুখ। স্টুডেন্টস হেলথ হোম পৌঁছে যাচ্ছে তাদের চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল, যশ পরবর্তীতে উপকূলবর্তী মানুষের চিকিৎসায় ‘স্টুডেন্টস হেলথ হোম’
ছবি- স্টুডেন্টস হেলথ হোম
Published on

কোভিড অতিমারিতে যখন সবাই দিশেহারা,তখন মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে স্টুডেন্টস হেলথ হোম। সুন্দরবনের নানা দ্বীপে বানভাসীদের জন্য তারাই ওষুধ-পত্র ও অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।

রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বহু বছর ধরে অসহায় মানুষদের জন্য স্টুডেন্টস হেলথ হোম বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করে। গত ২৩ বছরে তাদের ভূমিকা আরও খানিকটা বদলে গিয়েছে। ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তারা। যশ-এর তাণ্ডবে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, উপকূলবর্তী এলাকা বিপর্যস্ত। সেখানকার অসহায় মানুষগুলো সরকারের ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থেকে থেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন। দিন কুড়ি পরও বহু এলাকা থেকে এখনও জল নামেনি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নানা শরীর খারাপ অসুখ-বিসুখ। স্টুডেন্টস হেলথ হোম পৌঁছে যাচ্ছে তাদের চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে

সংস্থার পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তাঁরা। কিন্তু প্রশাসন ও শাসক দলের অসহযোগিতার কারণে শেষ পর্যন্ত নামখানায় পৌঁছান বলে তাঁদের দাবি। সেখানে গণ আন্দোলনের নেত্রী শিখা দাসের সহযোগিতায় নারায়ণগড়ে এক হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী এবং চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়া সম্ভব হয়। এরপর মৌসুনি দ্বীপ, রাক্ষসখালি-সহ বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শিবিরের আয়োজন করে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্য সামগ্রী পৌঁছে দেন তাঁরা।

সংস্থার পক্ষে ডা. পবিত্র গোস্বামী বলেন,'খাবার ছাড়াও আমরা বিভিন্ন দ্বীপে গিয়ে দেখলাম স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মশারির অভাব রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা নেই,ওষুধ নেই। প্রায় ৬০ হাজার টাকার স্যানিটারি ন্যাপকিন ও দেড় লক্ষ টাকার ওষুধ নিয়ে গ্রামে পৌঁছছি।'

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in