ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ দিয়েছেন। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি।
ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তে হাই কোর্টে ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার। সোমবার আদালতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, 'নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার দায়িত্ব ভাইস চেয়ারম্যানের। সাতদিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। বরং এতে হস্তক্ষেপ করেছে সরকার।' তিনি নির্দেশ দেন, যতদিন না চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছে ততদিন ঝালদা পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে চান, ভাইস চেয়ারম্যান ইস্তফাপত্র কাকে দিয়েছেন? সরকারি নোটিশে সেটার উল্লেখ নেই কেনো? কারণ পুর আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদত্যাগ করলে বা অপসারিত হলে সেই দায়িত্ব সামলাতে হয় ভাইস চেয়ারম্যানকে। সেক্ষেত্রে ভাইস চেয়ারম্যানকে নিজ পদ থেকে আগে ইস্তফা দিতে হয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, প্রশাসক পদ শূন্য হয়েছে তাই জন্যই সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর ইস্তফা এসডিও-র কাছে জমা করেছেন। কিন্তু তার কোনো লিখিত পত্র নেই। মৌখিকভাবে জানিয়ে ছিলেন।
আদালতের নির্দেশের ফলে ঝালদা পুরসভায় জবা মাছোয়ার (তৃণমূল থেকে চেয়ারপার্সন নিযুক্ত করা হয়েছিল) এবং কংগ্রেস মনোনীত শীলা চট্টোপাধ্যায় কেউই পুরপ্রধানের কাজ করতে পারবেন না।
আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে আইনজীবি কৌস্তব বাগচী বলেন, আমাদের দাবি ছিল সরকারের নোটিশের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। যাতে হাইকোর্ট আজকে মান্যতা দিয়েছে। সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক মনোভাবকে মান্যতা দেয়নি হাইকোর্ট।
ঝালদা পুরসভায় ২১ নভেম্বর আস্থা ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে অপসারিত করা হয়। নিয়মানুযায়ী নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে হবে। সাত দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া হয়নি। ফলে কাউন্সিলরদের তরফ থেকে বলা হয় ৩ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হবে। কিন্তু তার আগেই সরকার প্রশাসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন