জনসংহতি। সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক দল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা। কতগুলি নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী দেবে, সেবিষয়ে ইতিমধ্যেই মনস্থির করে ফেলেছে। সবথেকে বড় কথা, এই দলের লক্ষ্যই হল হিন্দু ভোটার। মূলত তাঁদের কথা মাথায় রেখেই তারা বিধানসভা নির্বাচনে নামতে চলেছে।
রবিবার বাংলার কট্টর দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন হিন্দু সংহতি নিজেদের রাজনৈতিক দলের কথা ঘোষণা করেছে। নাম দিয়েছে ‘জন সংহতি’। ১৭০টি আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে মনস্থির করেছে। ফলে বদলে গেল প্রাক-নির্বাচনী কালে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমীকরণ। আর এর ফলে কিছুটা বেকায়দায় গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের নির্বাচনে হিন্দু সংহতি বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। হিন্দু সংহতি মঞ্চ প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৮ সালে।
হিন্দু সংহতির প্রধান দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন, ‘হিন্দু সংহতি একটি স্বাধীন সংগঠন হিসাবে কাজ করে চলেছে। আর জন সংহতি একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা এই বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ৪০টি আসন এবং দক্ষিণবঙ্গে ১৩০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এখনও আমাদের অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট করার কোনও পরিকল্পনা নেই।’
রাজ্যে এখন মতুয়া ভোট সবার টার্গেট। সেই প্রসঙ্গে দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিজেপি নাগরিকত্ব আইন আর এনআরসি নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। অসম আর ত্রিপুরার অনেক হিন্দু সংগঠনই আমাদের সম্পর্কে আছে। অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে হিন্দুরা মারা যাচ্ছেন। বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়কে ভোট পাওয়ার জন্য ব্যবহার করছে বিজেপি।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন