গোরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতারির ঠিক ৫৭ দিনের মাথায় অর্থাৎ শুক্রবার অনুব্রতর বিরুদ্ধে আদালতে ৩৫ পাতার একটি চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যেখানে তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ আসানসোল আদালতের বিচারক রত্না রায়ের এজলাসে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত অনুব্রতর বিরুদ্ধে মোট তিনটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা পড়েছে আদালতে। সেখানে নাম রয়েছে মোট ১২ জনের। প্রথম চার্জশিটটি জমা পড়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
চার্জশিটে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে :-
১) অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি সহ ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট।
২) শুধু অনুব্রতর নামেই রয়েছে ৫৩টি দলিল এবং ২৫টি বেনামি দলিল যার প্রায় বেশিরভাগই রয়েছে তাঁর পরিবারের নামে।
৩) তিনটি চালকলের পাশাপাশি একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। গোরু পাচারকারীদের পাচারকার্যে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করতেন অনুব্রত।
৪) গোরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সাথে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের কথোপকথন।
৩৫ পাতার চার্জশিটে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯, ১২০বি, ৪২০, ৭, ৯, ১১, ১২, ১৩(২), ১৩(১)(ডি) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতর গ্রেফতারির পর তদন্তে নেমে কলকাতা এবং বীরভূমে অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল এবং কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল সিবিআই। পাশাপাশি বীরভূমের একাধিক চালকলেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তবে তৃণমূল নেতার কথায়, বেনামে তাঁর কোনও সম্পত্তি নেই।
অন্যদিকে, গোরু পাচার মামলায় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ রয়েছে ইডি-র আতশকাচের তলায়। এই সম্পত্তির উৎস কী তা জানতেই আজ (শুক্রবার) আসানসোল জেলে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে জেলের ভিতরই গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন