আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের পর এবার নিখোঁজ পোস্টার পড়ল উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের নামে। উত্তরপাড়ার কোতরং এলাকা অভিনেতা কাঞ্চনের 'সন্ধান চাই' পোস্টারে ছয়লাপ। তবে, কে বা কারা এই পোস্টারগুলি লাগিয়েছে তা নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা।
উত্তরপাড়ার ৬ নং ওয়ার্ড জুড়ে থাকা তৃণমূল বিধায়কের নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়ে পাল্টা কাঞ্চন জানান, মোটেই নিখোঁজ হননি তিনি। বরং বহাল তবিয়তে নিজের বিধানসভা এলাকায় কাজ করছেন।
সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের হাতে চিমটি কেটে তৃণমূল বিধায়ক জানান, "এটা আমি। আমি আছি, এতক্ষণ উত্তরপাড়ায় ছিলাম। এখন কোন্নগরের অফিসে আছি। প্রথমত, আমি জানি না আমার নামে নিখোঁজ পোস্টার কোথায় পড়েছে। যারা পোস্টার লাগিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্য কী সেটাও জানি না। আমি কাঞ্চন মল্লিক, অশরীরী নই। সশরীরে বসে আছি। আমি মানুষ, ভূত বা আত্মা তো নই।"
নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করেও এই দাবি করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক।
এই ধরণের ঘটনায় সরাসরি গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করছে ঘাসফুল শিবির। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়, বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক নিয়মিত এলাকায় আসেন, এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শোনেন। পাল্টা বিজেপি নেতা সঞ্জয় বণিকের দাবি, নির্বাচনের পর মানুষ কাঞ্চন মল্লিককে কোনও সময়ের জন্য পাশে পায়নি। এটা তারই প্রতিফলন। আরও এক বিজেপি নেতার কথায়, দুর্গাপুজোর সময় দু-একটা প্যান্ডেলে তাঁকে দেখা গেলেও, কালিপুজোয় দেখাই মেলেনি কাঞ্চনের।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে কাঞ্চন বলেন, "এটা যদি বিরোধীদের কাজ হয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে, আমি সশরীরে বেঁচে আছি। ভ্যানিস হইনি, মিস্টার ইন্ডিয়া হয়ে যাইনি। ছিলাম, আছি, থাকব।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন