তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি থেকে নির্বাচিত সাংসদ তিনি। আবার তৃণমূলের জেলা সভাপতিও বটে। গত বছরের শেষে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর পুত্র শুভেন্দু। তারপর থেকে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের সমীকরণ বদলায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায় তাঁকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল বিরোধী প্রচারও করেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগড়ায় অমিত শাহর সভায় তাঁকে দেখা গেলেও গেরুয়া পতাকা হাতে নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশির অধিকারী বা সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি। এমনটাই বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিধায়ক পদ না ছেড়েই গত সপ্তাহে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে গিয়েছেন সপুত্র মুকুল রায়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। এদিকে, শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে তৃণমূল দরবার শুরু করেছে। ইতিমধ্যে লোকসভার তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারের কাছে দরবার করেছেন।
দিলীপের বক্তব্য, শিশির অধিকারী-সৌমেন্দু অধিকারী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন বা আমাদের দলের হয়ে ভাষণ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। একথা ঠিক যে, শিশির অধিকারীকে বিজেপির হয়ে অন্য কোথাও সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। মুকুল রায়ের দলবদল ইস্যুতে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে উঠছে শিশির অধিকারীর নাম। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের বয়ান গুরুত্বপূর্ণ বটে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন