উত্তরবঙ্গ সফরে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে তাঁর থাকার জায়গা (তৃণমূল বিধায়কের খামারবাড়ি) ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে কটাক্ষ করে বলেছেন, সরকারি অর্থে সংস্কার করা হচ্ছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি। সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে আয়োজিত সরকারি সভায় যোগ দিয়েছেন মমতা। সভাস্থল থেকেই খামারবাড়ি সংস্কার প্রসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, কোথাও তো থাকতে হবে! মেয়েরা তো আর রাস্তায় পড়ে থাকতে পারে না। মালবাজারে সরকারি থাকার জায়গা কোথায়!
তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, মালবাজারে থাকার জন্য কোনও সরকারি জায়গা নেই। তিনি সরকারি টাকা খরচ করে হোটেলে থাকতে নারাজ। সেই কারণেই মালবাজারের তৃণমূল বিধায়ক দুলাল চন্দ্র দাসের বাড়িতে তিনি থাকতে চেয়েছেন। তবে, সেই খামারবাড়িটি বাস করার মত অবস্থায় ছিল না বলেই কিছু সংস্কারের কাজ সেখানে করতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেঁচে থাকাকালীন দুলালদার (তৃণমূল বিধায়ক) স্ত্রী বহুবার আমাকে তাঁদের বাড়ি যেতে বলেছিলেন। উত্তরে বলেছিলাম, তুমি যেদিন কটেজ করবে, আমাকে বলবে, আমি যাব। মালে একটা থাকার (সরকারি) জায়গা নেই! দুলালদার বাড়ি ছিল বলে আমি থাকতে পারলাম।
সোমবার মালবাজার এসে প্রথমে তৃণমূল বিধায়কের তেসিমলার খামারবাড়িতেই উঠেছিলেন মমতা। যত দ্রুত সম্ভব কম খরচে মালবাজারে একটি অতিথি নিবাস তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেখানে জমি দেখা শুরু হয়ে গেছে বলেই সূত্রের খবর।
তবে, সরকারি সভায় এসে বিধায়কের খামারবাড়িতে থাকা প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব ট্যুইটে তিনি জানান, "পশ্চিমবঙ্গ যখন আর্থিক মন্দায় ভুগছে এবং সরকার ডিএ দিতে, রাস্তা মেরামত করতে, কর্মসংস্থান তৈরি করতে অক্ষম, তখন TMC বিধায়ক দুলাল চন্দ্র দাসের একটি বেসরকারি খামারবাড়ি সংস্কার করার জন্য জনসাধারণের টাকা নয়ছয় করা কি ন্যায়সঙ্গত? পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ভিভিআইপি অতিথি ; লেডি কিম কি সেখানেই থাকবেন?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন