বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে গিয়ে মৃত DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্মরণে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে এক সমাবেশের ডাক দিয়েছিলো বাম ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। মঙ্গলবারের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, ডিওয়াইএফআই নেতা মীনাক্ষী মুখার্জী, সায়নদীপ মিত্র, এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিন মইদুলের বাড়িতে গিয়ে SFI-DYFI সহ ১০ বাম ছাত্রযুব সংগঠনের পক্ষ থেকে মইদুলের পরিবারের হাতে ১৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়।
এদিনের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন মৃত মইদুল ইসলামের মা। মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন- “আমার ছেলের খুনের প্রতিশোধ নেব। নেবই৷”। তাঁর বক্তব্যের মাঝেই হাততালিতে ফেটে পড়ে স্মরণসভা। মহম্মদ সেলিম মঞ্চে বসে ছিলেন মইদুলের কন্যাকে পাশে নিয়ে। তিনি বলেন- “যে শপথ মায়ের কন্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়েছে গোটা রাজ্যে কোটি কোটি কন্ঠে তা প্রতিধ্বনিত করতে আমরা শপথ নিচ্ছি”।
রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন- “উনি নবান্ন থেকে ঘোষণা করে দিলেন- চাকরি দেব, ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব। আরে কেউ চুল্লু খেয়ে মরলেও তো উনি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে দেন। মইদুল কী গিয়েছিল ক্ষতিপূরণ নেওয়ার জন্য! মইদুল গিয়েছিল বেকার ছেলেমেয়েদের কাজ চাইতে। যে পুলিশ লাঠি মারল, তাঁর ঘরে কী বেকার ছেলে মেয়ে নেই!”
মঞ্চ থেকে সেলিম অভিযোগ স্মরণ সভায় না আসার জন্য মইদুলের পরিবারকে তৃণমূল হুমকি দিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “ওরা মইদুলকে যেমন চেনেনি, মইদুলের মাকেও তেমন চেনেনি”। স্মরণসভায় ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী কাজী কামাল নাসের ও ডঃ সৌমিক দাস। সব মিলিয়ে মইদুলের স্মরণসভাকে ঘিরে আবেগে ভেসেছে কোতুলপুর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য- নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠিতে আহত হয়েছিলেন DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। কিছুদিন পর তাঁর মৃত্যু হলে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। সিপিআই(এম) এর অভিযোগ পুলিশের লাঠির আঘাতেই মইদুলের মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে DYFI কর্মী মইদুলের। পুলিশের এই তদন্ত রিপোর্টে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বাম নেতৃত্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন