কেন্দ্রে বিজেপি, রাজ্য তৃণমূল। বামেদের লড়াই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক বিরোধী শক্তিগুলিকে একত্রিত করে লড়াই করার পাশাপাশি রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধেও লড়াই চলবে। নিজেদের অবস্থান এভাবেই স্পষ্ট করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'রাজ্যের জনগণের উপর তৃণমূল আক্রমণ নামিয়ে আনছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আর কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে।'
আগামী ২০ আগস্ট ১৪টি বিরোধীদলের ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা। জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় সিপিএমের সঙ্গে বিরোধী দলগুলি যুক্ত হয়েছে। তাতে তৃণমূলও আছে। যদিও তৃণমূল রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বিজেপি বিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। তাহলে কি সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূল লড়তে প্রস্তুত? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তৃণমূল কী চায়, সেটা একমাত্র তারাই বলতে পারবে। তবে গত কয়েক বছর ধরে আমরা তো বিজেপি বিরোধী শক্তিদের নিয়ে চলছি। গত তিন মাসে আমরা দুবার যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছি। খসড়া আমি লিখেছি। মমতা ব্যানার্জিরা সই করেছেন। তাহলে প্রশ্ন উঠছে কেন?
পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের অবস্থান প্রসঙ্গে বামনেতা বলেন, এক-এক জায়গায় পরিস্থিতি এক-একরকম। এক জায়গায় লড়াইয়ের পদ্ধতি অন্য জায়গায় প্রয়োগ করলে হয় না। রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। এখানে তৃণমূল জনগণের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। রেড ভলান্টিয়াররা আক্রান্ত হচ্ছেন।
ত্রিপুরায় কী অবস্থান নেবে বামেরা? সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল কোথায়? যাঁরা ছিলেন তাঁরা সবাই বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। এখন মিডিয়াতে তৃণমূলকে দেখা যায়। কিন্তু ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল নেই। তিন বছর ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় লড়ছে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টই আক্রান্ত হচ্ছে।
পেগাসাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হিন্দুত্ববাদীরা সংসদ ধ্বংস করার দিকে এগোচ্ছে। ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতিতে বিরোধীরা একবার একজোট হয়ে পদত্যাগ করেছিল। দেশের সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র রক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এবারও বামেরা ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে বলে জানান তিনি।
তাঁর কথায় রাজ্য কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি ও পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকেই রূপায়িত করেছে। যদিও স্থানীয় স্তরে বোঝাপড়ায় তৃণমূল ও বিজেপিকে এক বলে মনে হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই ভুল ছিল। এদিকে ফ্রন্ট প্রসঙ্গে জানান, সংযুক্ত মোর্চা নির্বাচনের জন্য তৈরি হয়েছিল। ওটা স্থায়ী ফ্রন্ট নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন