শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যসভার সিপিআই(এম) সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
সোমবার পিপলস রিপোর্টারের প্রতিনিধিকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, "গোটা রাজ্য জুড়ে এখন একটা বিতর্ক হচ্ছে। সেই বিতর্কের মূল কথাই হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের মত একটি রাজ্যে কারোর বাড়িতে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা নগদ খুঁজে পাওয়া খুবই বিস্ময়কর ব্যাপার। এটা গুজরাট কিংবা মহারাষ্ট্রে হলে হয়তো বা ভেবে দেখা যেত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এটা খুবই বিস্ময়ের।"
তিনি আরও বলেন, "শুধু টাকা নয়, আমরা জানতে পেরেছি যে বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া গেছে। সোনা-দানা সহ কত সম্পত্তি পাওয়া গেছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এটাও কিছুই না। আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি, যদি তদন্ত ঠিকমতো হয়, শাসকদলের বহু নেতা, মন্ত্রী, কাউন্সিলর তাঁদের বাড়িতে যদি তদন্ত করা হয় তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকা বেরোবে। এই কয়েক বছরে এরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এমনভাবেই প্রতারিত করেছে। পশ্চিমবঙ্গের ধনসম্পদকে নষ্ট করেছে শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে।"
শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে বিকাশ বাবু বলেন, "তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এর বিরুদ্ধে মানুষকে পথে নামতে হবে এবং এরকম ইঙ্গিত আমরা লক্ষ্য করতে পারছি। আজকেই দেখলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বর AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। সেখানে যেসব বাঙালিরা চিকিৎসার জন্য গেছেন তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এ তো অভাবনীয় ব্যাপার।"
রাজ্যের বুকে একের পর এক দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এইরকম কলঙ্কজনক অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবনে আসবে এটা ভাবা যায়নি। আমাদের নিষ্ক্রিয়তা, আমাদের নিষ্পৃহতা এই ধরণের অন্যায়কে বাড়তে সাহায্য করেছে। এখন সময় এসেছে, সকলে মিলে রুখে দাঁড়িয়ে পথে নামতেই হবে।"
তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের যে সম্মান, যে গৌরবজনক অতীত তাকে ২০১১ সালের পর থেকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তাকে যদি আবার পুনরুদ্ধার করতে হয় তাহলে সমস্ত সুস্থ চিন্তার, শিক্ষিত (শুধু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী নয়, শিক্ষিত বলতে যে মানুষ সচেতন) মানুষ রুখে দাঁড়ান, পথে নামুন, এটাই সময়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন