হওয়ার কথা বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে শিক্ষার বিস্তার। কিন্তু হচ্ছে শ্রীমদভগবদ্গীতার চর্চা। ঘটনাস্থল শিবপুর আইআইইএসটি। দুটি বিষয় যে সম্পন্ন বিপরীতমুখী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রীমদভগবদ্গীতার চর্চা বেমানান, তা ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকমহল বুঝতে পারলেও ভার্চুয়াল কর্মশালায় সেটাই হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের প্রথমবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ভার্চুয়াল কর্মশালায় শ্রীমদভগবদ্গীতা ও হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষক শিক্ষিকা ও প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরাও।
এই ঘটনার জন্য অভিযোগের তির প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা পার্থসারথি চক্রবর্তীর দিকে। তিনি বারাণসীর আইআইটি বিএইচইউ থেকে এসেছেন। যদিও কেউ এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর কয়েকদিনের মধ্যে স্নাতক প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু হবে। তার আগে পড়ুয়াদের ভার্চুয়াল কর্মশালা শুরু হয়েছে। ক্লাস শুরুর আগেই ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ উঠেছে। চিফ ওয়ার্ডেন সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁর পরিচয় দেওয়া হয়।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেখিয়ে কীভাবে দেশে বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়। বারবার একই ঘটনা কেন ঘটছে, তা নিয়েও স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছে যে, তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের খুব বেশি উল্লেখযোগ্য স্থান নেই। তাই তাদের টার্গেট এবার নতুন প্রজন্ম। সেই লক্ষ্যেই গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপ।
এরপর হঠাৎই এক ব্যক্তিকে এনে ভগবদ্গীতা ও হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার করা হয়। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধর্মের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠক্রমস্থল, সেখানে কেন হিন্দু ধর্মের প্রচার করা হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে গৈরিকিকরণের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন