অমর্ত্য সেনের পাশে দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনরা, বিশ্বভারতীর উপাচার্যর বিরুদ্ধে চিঠি রাষ্ট্রপতিকে

চিঠিতে বিশিষ্টজনেরা লিখেছেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে অকারণে অপমান করেছেন। বার বার হেনস্থা করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশিষ্টজনদের
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশিষ্টজনদেরগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব হলেন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা তিন শতাধিক অধ্যাপক। তাঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি চিঠিও লিখেছেন। চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

আমেরিকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার আকেরলফ সহ মোট ৩০২ জন অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একাধিক নির্দয় ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি বেআইনিভাবে পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করেছেন। বিশ্বভারতীর একাধিক আধিকারিকের সাথেও তিনি অশোভনীয় আচরণ করেছেন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলেই কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিশ্বভারতীকে নিয়ে একাধিক মামলা জমা পড়েছে।

চিঠিতে বিশিষ্টজনেরা আরও লিখেছেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে অকারণে অপমান করেছেন। বার বার হেনস্থা করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। উপাচার্যর কাজ দেখে মনে হচ্ছে তিনি কাউকে খুশি করার জন্য এই কাজ করে চলেছেন। কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের সাথে অমর্ত্য সেনের কিছু মতানৈক্য আছে। উপাচার্য ওই সরকারের হয়েই কাজ করছেন বলে মনে হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির উচিত অবিলম্বে এই উপাচার্যর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

চিঠিতে আমেরিকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ছাড়াও এলবামা বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকরা সই করেছেন। এমনকি বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ও বর্তমান একাধিক পড়ুয়ারও স্বাক্ষর রয়েছে ওই চিঠিতে। ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুরও সই করেছেন চিঠিতে।

উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর অভিযোগ, অমর্ত্য সেন তাদের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। অমর্ত্য সেন পাল্টা দাবি করেছেন, আসল ১.২৫ একর জমিটি উপহার দেওয়া হয়েছিল তাঁর ঠাকুরদা প্রয়াত ক্ষিতিমোহন সেনকে, যিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য ছিলেন। পরে, অমর্ত্য সেনের বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেন, যিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন, তিনি বাকি ১৩ ডেসিমেল জমি কিনেছিলেন। আর, এই ১৩ ডেসিমেল জমি নিয়েই বিবাদ।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশিষ্টজনদের
WB Panchayat Polls: কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে মত আদালতের, ১৪ জুলাই ভোটের প্রস্তাব আদালতের, চলছে শুনানি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in