স্কুল বন্ধ থাকলে শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি সুস্থ থাকার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখা দরকার। তাই স্কুল খোলা থাকলে লাভ হল না বন্ধ থাকলে, তাও ভেবে দেখতে হবে। এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সোমবার প্রতীচি ইন্ডিয়া ট্রাস্ট ও সহযোগ-এর উদ্যোগে সংগঠিত রিইমাজিনিং লার্নিং অনলাইন আলোচনায় তিনি বলেন, আমি যদি ডাক্তার হতাম বা সামাজিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে জ্ঞান থাকত, তাহলে অবশ্যই চটজলদি এ ব্যাপারে মতামত দিতে পারতাম। সবাইকেই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
আলোচনা সভায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে কীভাবে পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো যায়, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শিক্ষক, চিকিৎসক, সমাজকর্মী, সাংবাদিক সবাই সেখানে মতবিনিময় করেন। অতিমারীতে স্কুল বন্ধ থাকলেও বীরভূম, বাঁকুড়া জেলায় পাঠশালা চালু রাখার প্রক্রিয়াকে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন।
যদিও অর্থনীতিবিদের মতে, বীরভূমের পূর্বাঞ্চলে যা হতে পারে, বাঁকুড়ার পশ্চিমাঞ্চলে তা নাও হতে পারে। রাজ্যের কলেজগুলোতে ইভালুয়েশন সিস্টেম-এর ক্ষেত্রে ওপেন বুক অ্যাসাইনমেন্ট মেধাবী ও গড়পড়তা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোন ফারাক তৈরি করতে পারছে? তিনি বলেন, মূল্যায়নের থেকে বেশি প্রয়োজন শেখা ও শেখানো। তারপর ভাবতে হবে কে কতটা শিখলেন, কে কতটা এগোতে পারলেন। কী শিখছি, কী জানাচ্ছি, এটাই প্রাথমিক ভাবনা। মূল্যায়নকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু মূল্যায়ন পদ্ধতির ত্রুটি নিয়েও আলোচনা করা উচিত।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক নিয়ে জোরালো মত প্রকাশ করেন প্রবীণ এই নোবেলজয়ী। তাঁর কথায়, পরিবেশ নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। আমরা যখনই যে কাজ করি না কেন, পরিবেশকে বাদ দিয়ে তা কখনও সম্ভব নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন