কংগ্রেসের প্রতীকে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন বাইরন বিশ্বাস। তবে তার কয়েক মাসের মধ্যেই তৃনমূলে যোগদান করেন তিনি। আর এবার সেই দলবদলু তৃনমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বাড়িতে আয়কর হানা। বুধবার ভোর থেকে বাইরনের বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বাইরনের হাসপাতাল, স্কুল, বিড়ি ও চায়ের ব্যবসাও রয়েছে। চায়ের ব্যবসা ও হাসপাতাল ব্যবসাতে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ। গত সেপ্টেম্বরে সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি পায় আয়কর বিভাগ। এরপর আয়করের তিন সদ্যসের একটি দল তদন্ত শুরু করে। অবশেষে, বুধবার সকালে বাইরনের বাড়িতে হানা আয়কর আধিকারিকদের।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই মুর্শিদাবাদ পৌঁছিয়েছে আয়করদের ১৩ জনের প্রতিনিধি দল। এরপর বুধবার ভোর রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে একটি দল বাইরনের শামসেরগঞ্জের বাড়িতে পৌছায়। পাশাপাশি, বাইরনের রঘুনাথগঞ্জের স্কুলে অন্য একটি দল পৌঁছে যায়। হাসপাতালেও পৌঁছে যায় একটি দল। চলছে একযোগে তল্লাশি।
আয়কর সূত্রে জানা গেছে, বাইরন বিশ্বাসের চা ও হাসপাতাল ব্যবসা থেকে হওয়া আয়কে একাধিক শেলের মাধ্যমে অন্যত্র বিনিযোগ করা হচ্ছে। এবং এই ব্যবসায় ক্ষতি দেখানো হচ্ছে। জানা গেছে, তদন্ত করে তৃনমূল বিধায়কের নামে-অনামে মোট ২১ টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে ১৭টি কোম্পানির কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গত ২৬ নভেম্বর সেই কোম্পানিগুলির চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আয়কর কর্তারা। তাদের জেরা করে মেলা তথ্যের ভিত্তিতেই বাইরনের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তিতে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় আয়কর কর্তারা। শুধু বাইরণ নয়, তাঁর সম্পত্তি দেখাশোনা করা ঘনিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাতে পারে আয়কর আধিকারিকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন