রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে আয়কর দপ্তর। তবে টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। বিড়ি কারখানা ছাড়াও জাকির হোসেনের চাল কল, ডাল কলেও তল্লাশি চালাচ্ছে আধিকারিকরা।
বুধবার থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে আয়কর দপ্তর। প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে তল্লাশি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সাথে নিয়েই তৃণমূল বিধায়কের বিড়ি কারখানা সহ অন্যান্য কারখানাতেও হানা দেয় আই টি আধিকারিকরা। তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথি ও নগদ টাকা উদ্ধার উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শিব বিড়ি কারখানা থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা এবং আনন্দ বিড়ি, বিজলি বিড়ি কারখানা থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকার সঠিক নথি দেখাতে না পারলে সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। সাথে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তদন্তভার গ্রহণ করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্যের মোট ২৪টি জায়গায় আয়কর দপ্তরের অভিযান চলে। তাঁর মধ্যে ছিল মুর্শিদাবাদের চারটি বিড়ি কারখানা। কারখানা থেকে যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে তাঁর কোনো কাগজ কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না বলেই আয়কর সূত্রে খবর। সমস্ত কারখানার মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ জমা করতে হবে আধিকারিকদের কাছে।
এই প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, তাঁদের সমস্ত রকম ট্যাক্স দেওয়া আছে। বেআইনি কোনো ব্যবসা তিনি করেন না। কাগজপত্র সবই ঠিক আছে। কোনো অসুবিধা নেই।
জাকির হোসেন ছাড়াও আয়কর দপ্তর হানা দেয় কলকাতার মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববির বাড়িতেও। তাঁর বাড়ি থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়র পারিষদের আয়ের সাথে নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন