টানা ৫৩ ঘন্টা তল্লাশির পর বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের চাল থেকে বেরোলেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। যদিও এরপরেও সংবাদমাধ্যমের সামনে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে দেখা গেল বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এই বিধায়ককে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই তল্লাশি অভিযান বলেও তিনি দাবি করেছেন।
গত বুধবার থেকে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়ি, অফিস এবং চালকলে তল্লাশি চালাচ্ছিল আয়কর দপ্তর। শুক্রবার বিকেলে শিবানী চালকলে তল্লাশি শেষে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। দলবদলের তিন মাসের মধ্যে বিধায়কের বাড়িতে হওয়া এই হানা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেপির টিকিটে বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তন্ময় ঘোষ। বিধায়কও হন তিনি। কিন্তু ২০২৩ এর আগস্ট মাসে নিজের পুরনো দলে ফিরে যান তিনি। অভিষেক ব্যানার্জির হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে।
আয়কর দপ্তর সূত্রে খবর, বিধায়কের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। বিধায়কের হিসাব রক্ষককেও তলব করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। বিধায়ককেও দফায় দফায় জেরা করা হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আয়কর হানার পিছনে বিজেপির চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই চালকলের ব্যবসা নতুন নয়, তন্ময়ের বাবাও এই ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় সংস্থা শুক্রবার বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতির সাথে যুক্ত নই। ১৯৬৫ সাল থেকে আমাদের এই ব্যবসা। শুধু শুধু আমাকে হেনস্থা করা হলো। যত হেনস্তা করবে তত আমার জেদ বাড়বে’।
২০২১ সালের আগে তৃণমূল করতেন তন্ময় ঘোষ। ২০১৫ সালে তৃণমূলের টিকিটে বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর হন। ২০২০ সালে বিষ্ণুপুর টাউনের যুব তৃণমূল সভাপতি হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন