রানিগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরব আলির দুটি বাড়ি সহ রাজ্যের মোট ৩৫ জায়গায় চলছে আয়কর তল্লাশি। বুধবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সহযোগে সোহরবের বাড়িতে হানা দেন আধিকারিকরা। মূলত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি ও কর ফাঁকির অভিযোগে এই তল্লাশি বলে জানা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতেই দুর্গাপুর, আসানসোল এবং রানিগঞ্জে পৌঁছে যান আয়কর দপ্তরের প্রায় ৭০ জন আধিকারিক। রাতে বৈঠকের পর আজ সকাল থেকেই কোমর বেঁধে অভিযানে নেমেছেন তাঁরা। ওই তিন জায়গায় একাধিক দলে ভাগ হয়ে ৭-৮টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন আয়কর আধিকারিকরা। তার মধ্যে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বার্নপুরের রহমতনগরের দুটি বাড়িত হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা।
আয়কর দপ্তর সূত্রে খবর, সোহরব আলির লোহা ও বালির ব্যবসা ছিল। এছাড়া একটি শপিং মলে নাকি বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সোহরব। সেই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখতে চান আধিকারিকরা। পাশাপাশি সোহরবের বিরুদ্ধে ইস্কো কারখানার লোহার স্ক্র্যাপ, রেল ওয়াগন ভাঙা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই বেআইনি ব্যবসার মাধ্যমেই তাঁর বিপুল সম্পত্তি হয়েছে কিনা জানতে চান আধিকারিকরা।
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের পাশাপাশি সৈয়দ মহম্মদ ইমতিয়াজ নামের এক লোহা ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর আধিকারিকরা। কোটি কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এই মহম্মদ ইমতিয়াজের সাথে সোহরব আলির যোগ রয়েছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতিতে যোগদানের আগে লোহা এবং লোহার ছাঁটের ব্যবসা করতেন সোহরব। লালু প্রসাদের দল আরজেডির হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন সোহরব। আবার ২০১১ সালে রানিগঞ্জ আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন। জয়ীও হয়েছিলেন। বিধায়ক থাকাকালীনই ১৯৯৫ সালে রেলের সম্পত্তির চুরির মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। আদালত ২ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু জেলে যাওয়ার সাথে সাথেই জামিনে মুক্তি পান সোহরব আলি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো সোহরব আলি এখন বিধায়ক না থাকলেও তাঁর স্ত্রী বর্তমানে তৃণমূল কাউন্সিলর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন