করোনা সংক্রমণের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে রাজ্যে চালু করা হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। ফলত সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেন, ও বাস। কিন্তু প্রতিদিন যাত্রী বিক্ষোভের জেরে রাজ্যকে লোকাল ট্রেন চালু করার প্রস্তাব পাঠায় ভারতীয় রেল বিভাগ। যদিও বৃহস্পতিবার রেলের সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ট্রেন চলাচল শুরু করলেই তা ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া রাজ্যে অন্যান্য পরিবহণ তো সীমিত সংখ্যায় চলছেই। অনেক শিথিল করা হয়েছে সব কিছু।' করোনা পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য সরকারের নির্দেশে জারি বিধিনিষেধ। বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেন। তবে কিছু সংখ্যক স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ওঠার অনুমোদন রয়েছে। সেইমতো বাড়ানো হয়েছে স্টাফ স্পেশ্যালও।
কিন্তু তাতেও সুরাহা মেলেনি বিশেষ। ভিড় বাড়ছেই। রেলের তরফে তা সামাল দিতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে লোকাল ট্রেন চালুর অনুমোদন মেলে। কিন্তু প্রথমবারের মতো এবারও রেলের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি রেল চালু হলে সংক্রমণ বাড়বে বৈকি কমবে না।
পাশাপাশি লাগাতার দুইদিন ধরে ট্রেনে ওঠা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে সোনারপুরে যাত্রীবিক্ষোভ শুরু হয়। লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও রেল অবরোধে নামেন মহিলা যাত্রীরা। সোনারপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ-সহ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে রেললাইনে অবরোধ করা হয়। এর জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে আপ ক্যানিং স্টাফ স্পেশ্যাল। পরপর দু’দিন রেল অবরোধের ঘটনায় চিন্তিত রেল কর্তৃপক্ষ। লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে এদিন ফের নবান্নে আবেদন জানায় রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এদিন মুখ্যমন্ত্রী তা খারিজ করে দিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন