অমানবিক দৃশ্য! খোলা আকাশের নিচে গাছের গুঁড়িতে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে মধ্যবয়স্কা এক আদিবাসী মহিলাকে। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুবপুর গ্রামে। বুধবার দুপুরে কয়েক জন গ্রামবাসী শিকলবন্দী ওই আদিবাসী মহিলাকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই আদিবাসী মহিলাকে শিকলবন্দী থেকে উদ্ধার করে। যদিও ওই আদিবাসী মহিলার পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন থাকার কারণেই আশেপাশের বাড়ির গাছের ফুল, ফল পেড়ে নিচ্ছেন। যাকে-তাকে ইটপাটকেল ছুঁড়ছেন ওই মহিলা। তাই পাড়া-প্রতিবেশীদের আক্রোশের ভয়ে বাধ্য হয়েই তাঁকে শিকলবন্দী করে রাখতে হয়েছিলো।
তাঁদের আরো দাবি, ডাক্তার দেখাতে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। আর পারছেন না তাঁরা। তাই এই অবস্থায় শিকলবন্দী করা ছাড়া আর কোন পথ ছিল না
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী মহিলার নাম সুজি মূর্মূ (৩৬)। তার দুই নাবালক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ওই মহিলার স্বামী নন্দ টুডু দীর্ঘ কয়েক বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর থেকেই ভাই আমিন মুর্মুর বাড়িতে থাকতেন সুজি মুর্মু। গত চার মাস আগে হঠাৎ করেই মানসিক দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হন সুজি মুর্মু বলে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন