বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ২৯ তম রাজ্য সম্মেলন। সম্মেলন মঞ্চ থেকে রাজ্যজুড়ে চলা ভয়াবহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে AIDWA।
এদিনের সম্মেলন থেকে মোট ১১৯ জনের কমিটি গঠন হয়েছে। যেখানে রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কনীনিকা ঘোষ এবং রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাহানারা খান। ২০ জন নতুন মুখ রয়েছেন এবারের কমিটিতে এবং আমন্ত্রিত সদস্য রয়েছেন ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী, এসএফআই নেত্রী নবনীতা চক্রবর্তী এবং শ্রমজীবী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে রয়েছেন মধুমিতা ব্যানার্জী।
নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে মহিলাদের সমানাধিকার এবং রাজ্যজুড়ে চলা বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলির কথা বলা হয়েছে:-
১) বৃহত্তর ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য মহিলা সমিতির পরিধি আরও দীর্ঘ করতে হবে।
২) সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সমিতির সদস্যদের প্রান্তিক এলাকার মানুষদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
৩) প্রান্তিক গরীব মহিলাদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা প্রদানের জন্য জেলাভিত্তিক আইনি সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন AIDWA সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাওয়ালে এবং সভাপতি মালিনী ভট্টাচার্য। সম্মেলন মঞ্চ থেকে সর্বভারতীয় নেতৃত্ব জানান, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বেকারদের জীবন। তেমনি বেসামাল অবস্থা রেশনের। সেখানে বায়োমেট্রিক সিস্টেম অবিলম্বে বন্ধ করে প্রতিটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনতে হবে।
পাশাপাশি নজর দিতে হবে ১০০ দিনের কাজ ও ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলির উপর। নেতৃত্বের ওভিজগ, জব কার্ড পেতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা কোপ ফেলছে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে। মিড-ডে-মিল না পাওয়ায় বাড়ছে স্কুলছটের সংখ্যা।
মালিনী ভট্টাচার্যের কথায় - মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলির বঞ্চনার বিরুদ্ধে যেমন রুখে দাঁড়াতে হবে, তেমনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ১০০ দিনের কাজ বা কৃষক এবং শ্রমিকরা প্রাপ্য মজুরি থেকে যেভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও ক্রমাগত প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সাহস দেখালে তবেই সফল হবো।
রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ জানান, আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিটি মহিলার কাছে পৌঁছানো। সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে যাবতীয় ভুল, ত্রুটি, দুর্বলতা সংশোধন করতে হবে। জেলাভিত্তিক লড়াই-আন্দোলনের খবর প্রকাশ্যে আনতে হবে। কৃষক, শ্রমিক, ক্ষেতমজুর, বিড়ি শ্রমিক, চা শ্রমিকদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন