মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুললো বামেরা। আগেও একাধিকবার যখন মাল নদীতে হড়পা বান এসেছে, তখন এখানে কেন বিসর্জনের কার্নিভালের আয়োজন করা হলো? আয়োজন করা হলেও কেন সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত ছিল না? প্রশ্ন তুললো বামেরা।
দশমীর রাতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে জলপাইগুড়ির মালবাজারের মাল নদীতে। হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের। এখনও নিখোঁজ প্রায় ৩০ জন। জানা গেছে, মাল নদীর দ্বীপে আটকে রয়েছেন অনেকে। তাঁদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়েছে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, নদীর ডান দিকের প্রবাহকে বালির বাঁধ দিয়ে আটকে দেওয়ার কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, "মর্মান্তিক এই ঘটনার অন্যতম কারণ পৌরসভা ও প্রশাসনের উদ্যোগে নদীর ডানহাতি প্রবাহকে বালির বাঁধে আটকে নদীর বুকে বিসর্জনের মেলা প্রাঙ্গণ তৈরি করা। এযাবৎ দফায় দফায় বহুবার, এমনকি দিন কয়েক আগেও এই ডানহাতি স্রোত হঠাৎ করেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে।"
সেলিমের অভিযোগ, এতো কিছু জানা সত্ত্বেও ওই স্রোতকে বালি ও পাথরের বাঁধ দিয়ে আটকে প্রতিমা বিসর্জনের গাড়ি ও মানুষের যাতায়াত সহ ওই মাঝের চরে জনসমাগমের ব্যবস্থা করে মাল পৌরসভা ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। প্রশাসনের খামখেয়ালিতেই শিশু, মহিলা, বৃদ্ধসহ এতগুলো প্রাণের সলিল সমাধি ঘটলো।
বাম নেতার আরও অভিযোগ, আজ ভোর রাত পর্যন্ত গ্রামবাসীদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নদীর দুইপাড়ের ৫-৬ কিমি এলাকা তল্লাশি চালিয়েছে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। অথচ সকাল ৮ টা পর্যন্ত প্রশাসনের, পুলিশের বা বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের দেখা পাওয়া যায়নি।
এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি। সমস্ত রাজ্যবাসীকে স্বজনহারা পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন