দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের হত্যার ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রাণভয়ে গ্রামে ফিরতে পারেননি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের আক্রান্ত পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। তৃণমূল নেতার হত্যার পর এই গ্রামের একাধিক আগুন ধরিয়ে দিয়ে লুটপাট চালানো হয়। এঁরা সকলেই সক্রিয় সিপিআইএম সমর্থক, যাদের দলের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জয়নগরের যে অঞ্চলে সোমবার ওই ঘটনা ঘটে সেখানে এখনও বাড়ি ফেরার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
সুজনের অভিযোগ, প্রথমে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেছে বেছে আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন ধরিয়েছে। এখন দুষ্কৃতীরা আমাদের মহিলা সমর্থকদের হুমকি দিছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে এবং ঘরছাড়া পুরুষ সদস্যদের নিরাপদে ঘরে ফেরানোর বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।
সোমবারের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শাহরুল শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্র অনুসারে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এই ঘটনায় জড়িত আরও কিছু ব্যক্তির খোঁজ চলছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই ঘটনায় যুক্তদের অধিকাংশই সোমবারের পর থেকে নিজেদের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। ফলে টাওয়ার লোকেশনের মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের খোঁজ পেতে অসুবিধে হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জয়নগরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, আইন তার নিজস্ব পথে চলবে এবং রাজ্যপালের কার্যালয়ও এই বিষয়ে নীরব থাকবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে হিংসার প্রভাবে রয়েছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন